প্রতিনিধি ১ এপ্রিল ২০২১ , ৪:২০:৪৫ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাওয়ে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আমল গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোন আদালতে ৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ফেইসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে কমেন্টকারী কারাগারে আটক ঝুমন দাস আপনের মা নিভা রানী দাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝুমন দাস আপনের মা বাদি হয়ে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামকান্ত সিংহার আদালত শাল্লা জোনে এ মামলাটি দায়ের করেন তিনি ।
আদালত মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করেছে। এদিকে আজ দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নোয়াগাও এসে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিৎ নন্দী ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে সহায়তা তুলে দেন। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে গ্রামবাসীকে আশ্বস্থ করেন। আদালতে দাখিলকৃত মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৬ মার্চ নিভা রাণী দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপনের ফেইসবুকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে স্ট্রেটাসের জেরে দিরাই ও শাল্লার কয়েকটি গ্রামের মানুষ দারাইন বাজারে সশস্ত্র বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী ঝুমনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরদিন গ্রামগুলোর হাজারো সশস্ত্র মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে এসে হামলা লুটপাট করে। ওইদিন তারা গ্রামের ৮৫টি ঘরে লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। এসময় ঝুমনের মা বাধা দিলে ঝুমনের স্ত্রীকে মারধরসহ তার শ্লীলতাহানীরও চেষ্টা করে হামলাকারীরা। মামলায় তিনি নাচনি, চন্ডিপুর, ধনপুর ও কাশিপুরসহ কয়েকটি গ্রামের ৭২জনের নাম উল্লেখ করে অন্তুত ২হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী নিভারাণী দাস বলেন, গত ২৫ মার্চ এই মামলাটি আমি শাল্লা থানায় দায়ের করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ মামলাটি না নেওয়ায় আজ আদালতে দাখিল করেছি। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই। একই সঙ্গে আমার ছেলেরও মুক্তি চাই।
মামলার আইনজীবী সুনামগঞ্জ জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি) এডভোকেট দেবাংশ শেখর দাস বলেন, শাল্লা থানা পুলিশ মামলাটি না নেওয়ায় আমরা আজ মামলাটি আদালতে দাখিল করেছি। আদালত বাদীর জবানবন্ধী নিয়ে মামলাটি ডিবির ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,এপিপি এড. আজাদুল ইসলাম রতন ও এড. নুর আলম(২) প্রমুখ।
এদিকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো.আহমদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্থ নোয়াগাঁও গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা সাম্প্রদায়িক এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীর হাতে সহায়তা তুলে দেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল আহমদ,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমনসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।