প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৭:৫১:২৮ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্কঃ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই, ৭ দিনের রিমান্ড দেওয়াকে অযৌক্তিক দাবি আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ মেজবাহ আরও বলেন আদালতে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা এবং মামুনুল হকের আইনজীবীর সবাইকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এটাকি ক্যামেরা ট্রায়াল? এভাবে চলতে থাকলে আদালতের উপর থেকে মানুষের আস্থা চলে যাবে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন ২০২০ সালের ৭ মার্চের মামলা অথচ মামুনুল হক সারাদেশে বিরাজমান (জনসম্মুখে বিভিন্ন কর্মসূচিতে) ছিলেন উনাকে ১ বছর আগে কেন গ্রেফতার করা হয়নি?
ধর্মীয় অনুভূতির কথা বলে মামুনুল হক কে হেয় প্রতিপন্ন করাই সরকারের উদ্দেশ্য।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় এই রিমান্ড আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূ্ত্র জানায়, মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল হক হেফাজত নেতা মামুনুলকে আদালতে হাজির করেন। একই সাথে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামি মামুনুলের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ।
এর আগে, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে বেলা ১১টা ৮ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার এ মামলায় মারধর, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাতে গুরুতর জখম, চুরি, হুমকি ও ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগের অভিযোগ এনে স্থানীয় এক ব্যক্তি মামুনুলের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজহারে বাদি বলেছেন উনি মসজিদে ইবাদত বন্দেগী করতে গেলে মামুনুল হকের অনুসারীরা তার নির্দেশে মারধর করে বের করে দেয় পকেটে থাকা ৮ হাজার টাকা ও ২০০ ডলার ছিনিয়ে নিয়ে যায়
এর আগে রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য মামলার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত এক মাস ধরে ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক।
নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে মনে করছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন।