• অনিয়ম / দুর্নীতি

    তাহিরপুরে এলজিএসপির বরাদ্দকৃত ৭লাখ টাকার মধ্যে ৬লাখ টাকাই আত্মসাৎ ইউপি সদস্য কালামের

      প্রতিনিধি ১ এপ্রিল ২০২১ , ১২:১২:১৫ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গ্রামকে শহরে পরিণত করার লক্ষ্যে গ্রামীন জনপদের সার্বিক উন্নয়নের সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। প্রতিটি স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে গুটিকয়েক দূর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিরা সেই বরাদ্দের টাকা হতে দায়সারাভাবে কাজ করে বাকি লাখ লাখ টাকা আত্মসাধের ও খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তেমনি একটি একটি প্রকল্পের নামমাত্র কাম করিয়ে লাখ লাখ টাকা র্দূনীর্তির মাধ্যমেআত্মসাধ করে র্দূনীতির একটি ঘটনার জন্ম দিয়ে ফের আলোচনার ও সংবাদের শিরোনামে আসলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়াডের র্দূনীতিবাজ ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম। তিনি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় বাজার উন্নয়ন খাতে বাজারের অলিগলি পাকাকরণ ও বাজারের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন খাতে টয়লেট নির্মাণ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৭ লাখ টাকার মধ্যে প্রায় লাখ টাকার কাজ করে বাকি ৬লাখ টাকাই আত্মসাত করেছেন এই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবুল কালামের বিরুদ্ধে ।
    তার বিরুদ্ধে শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর (খালা শ্রীপুর) গ্রামের মোঃ শাহনুর মিয়ার ছেলে, মোঃ কবির মিয়া গত ২৮ ফেব্রæয়ারী ঐ ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানাযায় ২০১৯-২০-অর্থ বছরের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায়,বাজার উন্নয়ন খাতে,বাজারের গলি পাকাকরণ কাজে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং একই বাজারের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন খাতে,বাজারের টয়লেট নির্মাণ কাজে আরো ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালামকে। উনি বিগত কয়েক দিন পূর্বে শ্রীপুর বাজারের গলি পাকাকরণ ও টয়লেট নির্মাণ কাজের সমাপ্ত করেন।কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়,প্রকল্প অনুযায়ী বাজারের গলি পাকাকরনের কথা থাকলেও,তিনি আনুমানিক ৩০হাজার টাকা খরচ করে কাজের সমাপ্তি দেন,এবং একই ভাবে টয়লেট নির্মাণের কথা থাকলেও আনুমানিক ৮০হাজার টাকা খরচ করে একটি নিম্নমানের টয়লেট নির্মাণ করেন। এতে বাজার কমিটি সহ স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
    এ ব্যাপারে গলি পাকাকরণ কাজে সম্পৃক্ত রাজমিস্ত্রী সহ স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান বাজারের গলি পাকাকরণ কাজ বলতে আমরা কিছু দেখিনি,তবে শ্রীপুর বাজার থেকে নয়াবন্দ গ্রামের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এর বাড়ি পর্যন্ত সড়কে,৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম কিছু কাজ করেছেন। এতে পুরাতন বøক জয়েন্ট করার জন্য তিনি ১৯২ ফুট বালু ব্যবহার করেছেন,ও ২৬বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার করেছেন,এবং রাজমিস্ত্রী কে দিয়েছেন ৯ হাজার ৬শত টাকা ।এছাড়াও কিছু অংশে মাটি ভরাট করার জন্য ২৪-২৬জন শ্রমিক লেগেছে এতে এ পর্যন্তএ কাজ করতে তাদের তথ্যমতে এ কাজে খরচ হয়েছে প্রায় ৩২হাজার ৯ শত ৪০ টাকা মাত্র।
    এ ব্যাপারে টয়লেট নির্মাণ কাজে সম্পৃক্ত রাজমিস্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোনে অনেকবার চেষ্টা করলেও উনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
    স্থানীয়রা জানান ৪লক্ষ টাকা বরাদ্দের মধ্যে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে টয়লেট এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন, অভিযোক্ত ইউপি সদস্য আবুল কালাম।

    এ ব্যাপারে স্থানীয় শ্রীপুর বাজার পরিচালনার আহবায়ক কমিটি সদস্য জিয়াউর রহমান আখঞ্জী জিয়া বলেন, শ্রীপুর বাজারে গনশোচাগার না থাকায়, বাজারের ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারে আসা জনসাধারণ দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এতে আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি গনশোচাগার নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের দাবি পূরণ ও দুর্ভোগের ইতি টানতে সরকার শ্রীপুর বাজারে একটি গনশোচাগার নির্মাণের জন্য ৪লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, টয়লেট নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন কারি ব্যক্তি শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম ওরফে(আবুল) ৪লক্ষ টাকা বরাদ্দের মধ্যে দায়সারা ভাবে আনুমানিক ৭০-৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি টয়লেট নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন।এতে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বাজার কমিটি সহ স্থানীয়রা।

    এ ব্যাপারে শ্রীপুর বাজার পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাচ্ছির আলম সুবল বলেন আমি উক্ত বাজার কমিটির আহবায়ক, এই বাজারে টয়লেট নির্মাণ ও গলি পাকাকরণ কাজ হচ্ছে এ বিষয়ে আমি সহ আহবায়ক কমিটির কাউকেই অবগত করেননি। কত টাকা বরাদ্দ তাও জানান নি। তবে এই টয়লেট টি টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ-টাওয়ার এলাকায় যে টয়লেটটি নির্মাণ হয়েছে, সেই ভাবেই নির্মাণ হওয়ার কথা।

    এ ব্যাপারে উল্লেখিত কাজ বাস্তবায়নকারি ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম ওরফে আবুলের সাথে মোবাইল ফোনে য্গোাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি মিথ্যা বলে জানান। তিনি বলেন বাজারে তিনি কোন সিসি ঢালাইয়ের কাজ পাননি।
    এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ এর কাছে জানতে চাইলে তিনিবলেন, এবিষয়ে বেশ কয়েক জন আমাকে অবহিত করেছেন, বিষয়টি দ্রæতত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

    ০১.০৪.২০২১

    আরও খবর

    Sponsered content