প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২১ , ৩:৩৪:৪৫ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মূখে মাস্ক না পড়ে অবাধে চলাফেরা ও আইন অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে চলমান লকডাউনে ১৩ জনকে অর্থ দন্ড করার পাশাপাশি সচেতনতা মূলক প্রচারণা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত এর বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। এদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আভ্যন্তরীণ সড়ক গুলোতে চলাচল করেছে ছোট ছোট যানবাহন।
মরনব্যাধী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ১৪ ই এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনের ১৪ ও ১৫ ই এপ্রিল সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহর সহ উপজেলার সৈয়দপুর বাজার ও রানীগঞ্জ বাজারে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালানোর সময়ে মূখে মাস্ক না পড়ে অবাধে চলাফেরা ও আইন অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে ১৩ জনকে অর্থ দন্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত এর বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। এত কিছুর পরও লকডাউন এর তৃতীয় দিন ১৬ই এপ্রিল জগন্নাথপুর পৌর সহর সহ উপজেলার সবকটি হাট-বাজারে অন্যান্য দিনের মতো ছিল জনসমাগম। নীতিমালা উপেক্ষা করে খোলা ছিল দোকানপাট। জগন্নাথপুর এর কোথাও লকডাউনের প্রভাব পড়েনি বললেই চলে। শুধুমাত্র জগন্নাথপুর পৌর শহরে প্রশাসনের লোকজন দেখলেই মানুষজন ছুটে পালানোর চেষ্টা করলেও প্রশাসনের গাড়ী চলে গেলে আবারো জটলা বেধে চলাফেরা করেছেন জনসাধারণ।
এদিকে চলমান লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা সহ নানামুখী দিক নির্দেশনা থাকলেও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তা মানা হয়নি। কেবল মাত্র উপজেলা সদরস্থ জগন্নাথপুর – পাগলা- সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও জগন্নাথপুর -বিশ্বনাথ- সিলেট বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস – মিনিবাস ছেড়ে না গেলেও জগন্নাথপুর -পাগলা ও জগন্নাথপুর -বিশ্বনাথ সড়ক সহ আভ্যন্তরীন সড়ক গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লেগুনা, অটো টেম্পো, সিএনজি ও অটোরিকশা গুলো অহরহ চলাচল করছে । এছাড়াও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কাঁচা মালের ব্যবসায়ীরা খোলা জায়গায় হাট বসিয়ে ব্যবসা করার কথা থাকলেও আগের মতোই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মূখে মাস্ক ব্যবহার না করেই জগন্নাথপুর পৌর সহর সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে চলাচল করছেন জনসাধারণ।