প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ৩:৩৫:২৬ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরের কৃতি ফুটবলার তরুণ সমাজ সেবক মাসুম আহমদ (২৫) হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের ফাঁসির দাবীতে পৌরসভার আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ভবানীপুর গ্রাম নিবাসী কৃতি ফুটবলার তরুণ সমাজ সেবক মোঃ মাসুম আহমদ (২৫) হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের ফাঁসির দাবীতে পৌর সভার ব্যানারে ২৩ শে এপ্রিল রোজ শুক্রবার বিকালে পৌর চত্বরের সামনে বিভিন্ন পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সুনু, জগন্নাথপুর পৌরসাভার সাবেক প্যানেল মেয়র আবাব মিয়া,৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার ও সাবেক প্যানেল মেয়র সুহেল আহমদ, জগন্নাথপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহির উদ্দিন, সমাজ সেবক রেজাউল করিম রাজু, মুফতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল লতিফ, জগন্নাথপুর বাউল কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল পরান ও নিহতের মামা আলী আহমদ প্রমূখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ভবাণীপুরের বাসিন্দা ফুটবলার মাসুমের বাসার সামনের রাস্তার জায়গা পাশের বাসার সুরুজ মিয়া,তার ছেলে লিয়ন মিয়া ও রুবেল আহমদ গংরা জোরপূর্বক দখল করার প্রতিবাদ করায় ফুটবলার মাসুমকে দিনদুপুরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার মা ও বোনের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে পিঠিয়ে হত্যা করে। মাসুম একজন উপজেলার ভালো ফুটবল খেলোয়ার ছিলেন। অবিলম্বে এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে ফাসিঁর রায় কার্যকরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ভবানীপুর নিবাসী মৃত মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে কৃতি ফুটবলার মোঃ মাসুম আহমেদ (২৫) এর সাথে প্রতিবেশী মোঃ সুরুজ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে সীমানার রাস্তা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ রাস্তায় একটি বাশঁ হেলে পড়ে। ১৬ ই এপ্রিল রোজ শুক্রবার বিকাল প্রায় ৪ ঘটিকার সময় হেলে পড়া বাঁশ সুরুজ মিয়ার পক্ষের লোকজন জোরপূর্বক কেটে দিতে চাইলে এতে বাঁধা দেন মাসুম আহমদ। এসময় সরুজ মিয়ার ছেলে লিয়ন আহমদ রুবেল মিয়া গংরা মাসুম আহমদ এর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। এঘটনায় মাসুম আহমদ আহত হলে প্রথমে তাকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্খ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানি হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথি মধ্যেই মাসুম আহমদ মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত ফুটবলার মাসুম আহমদ এর বোন তমা আক্তার মুন্নী নিজে বাদী হয়ে হত্যাকারী একই এলাকার বাসিন্দা সুরুজ আলীর ছেলে রুবেল মিয়াকে প্রধান আসামী করে মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে গত ১৯ এপ্রিল জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় পুলিশ রুবেল মিয়া (২৪), গয়াস মিয়া (৬০) ও আব্দুল মান্নান (৫৬) কে আটক করেন এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছে।