প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২১ , ৯:৪০:১৯ অনলাইন সংস্করণ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলছে সরকারের পক্ষ থেকে আরোপিত সাত দিনের বিধিনিষেধ। এই সময়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের বাইরে বের হতে বাধা নেই এবং মুভমেন্ট (চলাচল) পাস লাগবে না বলে জানিয়েছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনেই বাইরে বের হয়ে চিকিৎসকরা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। ভুক্তভোগী অনেকেই এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদের নির্দেশনা তৃণমূল পুলিশ সদস্যরা মানছেন না।
এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউসিজি) অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, চিকিৎসকরা যেহেতু জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে পড়েন, সেহেতু পরিচয় দেওয়ার পরও তার নামে মামলা দেওয়া উচিত হয়নি। যা হয়েছে ঠিক হয়নি, মহা-অন্যায় হয়েছে।’
তিনি বলেন, হাসপাতালে জরুরি বিভাগ তো খোলা, সে হিসেবে চিকিৎসকরা তো অবাধে কর্মস্থলে যেতে পারার কথা। তা না হলে তারা এতো রোগীর চিকিৎসা কীভাবে দেবেন? তারা যে কষ্ট করে যাচ্ছেন, এটাই তো বেশি। আর যেন এমন না হয়, তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’বাধার শিকার হওয়া চিকিৎসকদের ক্ষোভ
কর্মস্থলে যেতে পুলিশের বাধা ও ভোগান্তিতে পড়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজস্ব গ্রুপগুলোতে তারা এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
কৃষ্ণা হালদার নামের এক চিকিৎসক লিখেছেন, ‘গত রাতে কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আমার নাইট শিফটে ডিউটি ছিল। সকালে আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার পিক-আপ করার সময় কারওয়ান বাজার সিগন্যালে ড্রাইভার আমার আইডি কার্ড দেখানোর পরও পুলিশ মামলা করেছে।
অভিযোগ করে তিনি আরও লেখেন,‘পুলিশ তাকে ফাইন (জরিমানা) করেছে, সব কাগজপত্র নিয়ে গেছে। পরে তিনি পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। বারবার চেষ্টা করেও তিনি মুভমেন্ট পাস বের করতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেছেন।
সেই চিকিৎসক জরিমানার টাকা ফেরত পাবেন
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমুল ইসলামের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। বুধবার রাতে চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছেন। নাজমুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার আগে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ফোন করেছিলেন। তিনিই জরিমানা হিসেবে আদায় করা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানান। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের কাজ সেরে ফেরার পথে তিনি টাকা ফেরত নেবেন।