• দিবস উদযাপন

    একুশে টেলিভিশনের একুশতম জন্মদিন

      প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২১ , ৪:৫১:১৮ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: মুক্ত চিন্তার খোলা জানালা একুশে টেলিভিশনের জন্মদিন আগামীকাল। ২০০০ সালের পহেলা বৈশাখ শুরু হওয়া একুশে টিভি দেশের প্রথম বেসরকারি টেরিস্ট্ররিয়াল চ্যানেল। মাথা নত না করার প্রত্যয় আর ‘পরিবর্তনে অঙ্গিকারবদ্ধ’ শ্লোগানে শুরু হওয়া এ স্টেশনের উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রচারে এসেই সংবাদ প্রচারে নতুনধারা আর অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে একুশে। অদ্যবধি একুশে টিভি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশীয় সংস্কৃতি, আপোষহীন সংবাদ, নাটকসহ সমৃদ্ধশালী বিনোদন। কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা আর মৌলবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের কারণে খুব অল্প সময়ে মানুষের হৃদয় জয় করে একুশে টেলিভিশন। পরিণত হয় গণমানুষের প্ল্যাটফরমে।

    একুশের চেতনায় লালিত একুশে টিভির বাইশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাট্যজন পীযুষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, মুক্তবুদ্ধি, শুদ্ধচেতনা, হৃদয়ে একাত্তর, স্বাধীনতার জয়গান, তারুণ্যের উদ্ভাসন, অসাম্প্রদায়িক মনন গঠন আর বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার উর্বরক্ষেত্র একুশে টেলিভিশন। নানামাত্রিকতায় তাই এটি অনন্য এবং অগ্রণী। বিগত দিনে কর্মরত একুশের সংবাদকর্মীরাই আজকের মিডিয়াতারকা। প্রতি মুহূর্তে তাঁরা অনুভব করেন একুশের অনুরণন।
    পীযুষ বন্দোপাধ্যায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞাপনদাতা, কেবল অপারেটর ও কলাকুশলীদের প্রতি। তাঁর অভিমত, দর্শকেরাই একুশে টিভির প্রাণ। আর ভাষা আন্দোলন তথা একুশের চেতনা আমাদের প্রাণশক্তি। এ দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। ৩৬৫ দিনের প্রতিটি ক্ষণে আমরা জনগণের সঙ্গে থেকে নতুনত্ব উপহার দিচ্ছি।
    একুশে টেলিভিশনের একুশতম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বিশিষ্ট কবি, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি পেশার বিশিষ্টজনেরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
    বাণী দিয়েছেন একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি-ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদ। করোনা সচেতনায় একুশের বহুমাত্রিক কার্যক্রমের প্রশংসাও করেন তিনি।
    সম্প্রচারে আসার পর থেকেই একুশের উচ্চারণে ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়। এই টেলিভিশনের হাত ধরে খুলে গিয়েছিল অবাধ তথ্য প্রবাহের রুদ্ধ দুয়ার। পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ একুশে টেলিভিশন সব সময় উচ্চারণ করে মুক্তিযুদ্ধের দীপ্তমান জয়গান। মুক্তপ্রাণের প্রতিধ্বনি উচ্চারিত হয় একুশের চেতনায়।

    আরও খবর

    Sponsered content