প্রতিনিধি ১৭ মার্চ ২০২১ , ৯:৫৩:১৭ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ নাঈম তালুকদারঃ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক’কে নিয়ে ঝুমন দাস আপন এর ফেসবুকে কটুক্তি ও বাজে মন্তব্য করায় শাল্লায় প্রতিবাদে উত্তাল বিভিন্ন গ্রামের মুসলিম জনতা। বিশেষ করে কটুক্তিকারী ঝুমন দাস আপন এর হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আসেপাশের বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা আজ ভোরের আলো ফুটতেই দলে দলে জমায়েত হতে থাকে। লাঠিসোঁটা উঁচিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গ্রামের শান্ত মেঠোপথ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নোয়াগাঁও গ্রামের আসেপাশ এলাকায়। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ও সমূহ ভয়ংকর বিপদ আঁচ করতে পেরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শতবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যস্ত পেলে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী)।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নিয়ে যান শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন, শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জসহ নেতৃস্থানীয় উলামাদের।
শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরীর সময়োপযোগী সাহসী পদক্ষেপ এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলার আলেম উলামারা ছুটে না আসলে বড় ধরনের কিছু ঘটতে পারতো।
এব্যাপারে শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী) দৈনিক ভাটি বাংলা ডটকম ও ভাটি বাংলা টিভি-কে বলেন ঝুমন দাস আপন নামে একটি ছেলের ফেসবুকে একজন ইসলামি নেতাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ও মুসলিম জনতার দাবির প্রেক্ষিতে শাল্লা থানা পুলিশ গতকাল রাতেই গ্রেফতার করে এবং কোর্টে প্রেরণ করে। তারপরও আজ সকালে স্থানীয় মুসল্লীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল করার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত প্রশাসন, আলেম উলামা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। তারপর আমরা আলেমদের সাথে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং নোয়াগাঁও গ্রামের সর্বস্তরের নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় করেছি যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে না পারে।
আমরা শত শত বছর ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করছি, আমরা শাল্লার এই সম্প্রীতির বন্ধনকে বিনষ্ট করতে কাউকে সুযোগ দিব না।
আমি শাল্লা সহ মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা শান্ত থাকুন, প্রশাসন আইনানুসারে ব্যবস্থা নিচ্ছে, কেউ আইন লঙ্ঘন করবেন না।
আমাদের চিরাচরিত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন।