প্রতিনিধি ৬ মার্চ ২০২১ , ৫:৪৯:০৪ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় নীতিমালা লংঘন করে সরকারি ইজারাকৃত বিল সেচের মাধ্যমে শুরু হয়েছে মৎস্য আহরনের মহোৎসব । বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকলে ও সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে কৌশলে সাবলীজ নিয়ে মৎস্য নিধন করে দেশী মাছের বংশ ধ্বংস করছে কিছু সুবিধভোগী ক্ষমতাশালী অমৎস্যজীবিরা। নিয়ম অনুযায়ী জলমহালে (বিলের) তলা শুকিয়ে মৎস্য নিধন গুরতর অপরাধ। এমনকি ইজারা বাতিলের কথা উল্লেখ থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধ্ঙ্গুলী দেখিয়ে অদৃশ্য শক্তি ও অভিনব কৌশলে উপজেলার প্রায় প্রতিটি বিলেরই তলা শুকিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে ? কার সার্থে দেশী মাছের প্রজাতী নষ্ট করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন এখন সচেতন মহল ছাড়িয়ে সর্বত্রই মুনা যাচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে গত ১ সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে উপজেলার ইজারাকৃত বিভিন্ন জল মহালে (বিলে) পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচে মৎস নিধন করছে। জলমহাল সেচের ব্যাপাওে উপজেলা জুড়ে যখন সমালোচনার ঝড় বইছে ঠিক সেই মুহুর্তে ইজারাদাররা অভিনব কৌশল একেছে। তারা নিজেওে কয়েকজন কে কৃষি কাজে পানি দেয়ার নামে জলমহালে দিনের বেলায় ১/২ টি পাম্প দিয়ে পানি সেচ কলেও রাতে ওই জল মহালে (বিলে) ৪/৫ টি পানিম পাম্প দিয়ে সারা রাত পানি সেচ দিচ্ছে। আবার ভোওে ২ টি ছোট পাম্প রেখে বাকী পাম্পগুলো সড়িয়ে নিচ্ছে। এমন কান্ড দেখা গেঠে উপজেলা সংলগ্ন দেওতান জলমহালে যা একটি মৎস্য সমিতি দিয়ে শাহাপুর গ্রামের ওয়াসীম মিয়া সেচ করছেন। সরেজমিন ঘুরে এর চিত্র দেখারপর সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে বশে নেয়ার বার বার চেষ্টা করেন তিনি। উপজেলা প্রশাসনকেও তারা মানছেন না। প্রতি বছরই এমন হীন কাজ করেন তিনি।
সর্বশেষ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওথান জলমহাল, ফেঁনারবাক ইউনিয়নের লকড়ি জলমহাল, বেহেলী ইউনিয়নের পুটি বিল ঘুরে দেখা গেছে এই বাস্তব চিত্র। জলমহালের নীতিমালা লংঘন করে মাছের বংশ ধ্বংশ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারীর বিষয়ে সমালোচনা চলছে। স্থানীয় প্রশাসন সহ সচেতন মানুষের চোখে ধাঁধাঁ দিয়ে নিজেদের লোজনকে মেনেজ করে বোরো জমিতে পানি দেয়ার মত নিরেট মিথ্যা কথার আশ্রয় নিয়ে জলমহাল সেচের মাছের বংশ দ্বংশ করছে এই দুষ্কৃতকারী মাছ খেকো চক্রটি। তবে কোথাও কোথাও আবার এই অপরাধের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা আদায়ও করেছে উপজেলা প্রশাসন। অনেকেই আবার বলছে সামান্য টাকা জরিমানা করলেই তাদের শিক্ষা হবে না। জেল দিলে হয়তো মোটা অংকের জড়িমানা করে আইন ও নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধা আসতে পারে। দেওথান বিলের পানি সেচে মাছ ধরার চেষ্টার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ওয়াসীম মিয়া বলেন জমিতে পানি লাগে, তাই পানি দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন, যেই জমিতে পানি দিচ্ছে সেই জমি সহ আশেপাশে আরো কয়েক একর জমি ঘুরে দেখা যায় কোন জমিতেই পানির প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন জমি ঘুরে সেই পানি নিষ্কাশন হচ্ছে অন্য এক ডোবায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুনন্দা রানী মোদক বলেন, কৃষি অফিসারকে বলা হয়েছে জমিতে পানি দিতে চাইলে তাদেও সাথে সমন্বয় কওে প্রয়োজন মতো পানি দিতে হবে । জলমহাল সেচের কোন নিয়ম নেই তলা শুকিয়ে মৎস্য াাহরণ করলে ব্রবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত দেব বলেন, ইতোমধ্যে জলমহাল শুকানোর অপরাধে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হযেছে। বিলের তলা শুকিয়ে কেই মৎস্য আহরাণ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।