প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ১১:৫৬:৪৬ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:- সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় স্বামীকে কারাগার না পাঠিয়ে পৃথক ৫৪ টি মামলা আপোষ নিষ্পত্তি কর দিয়ছন বিজ্ঞ আদালত বিচারক।
তবে ১১টি মামলায় স্বামীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সোমবার দুপুর ৬৫ টি পৃথক মামলার একসঙ্গে দেওয়া রায় সুনামগঞ্জ’র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদেশ ঘোষনার পর স্বামী স্ত্রীকে আদালত থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অ্যাডভাকট নাটু রায়। রায় ঘাষণার পর আদালতের পক্ষ থেকে ৫৪ দম্পতিকে ফুল দিয় বরণ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানা যায়,যৌতুক, নারী নির্যাতনসহ বিভিন কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে সুনামগঞ্জ যেলার বিভিন্ন উপজেলার ৬৫ জন নারী স্বামীর সংসার থেকে তাড়িয়ে দেয়ার কারণে নির্যাতিতরা তাদের স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথকভাবে আদালতে মামলা করেছিলেন। দীর্ঘদিন এসব মামলার বিচার কাজ চলমান ছিল। নির্যাতনর শিকার হয় নারীরা তাদের ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে অনিশ্চিত এক জীবন যুদ্ধ চালিয় যাচ্ছিলেন। অনিশ্চিত জীবন থেকে ৫৪ স্ত্রী তাদের স্বামীর এবং সন্তানেরা তাদের যার যার বাবার পারিবারিক বলয়ে আবদ্ধ করে ব্যতিক্রমী আপোষের রায় দিলেন বিচারক।
বিচারক উভয় পক্ষর বক্তব্য শুনে তাঁদের সন্তানদের এবং তাঁদের মঙ্গলের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্য আগামীর দাম্পত্য জীবন সম্প্রীতির বন্ধন নতুনভাবে সৃষ্টি করে দিতে এই ৫৪ টি দম্পতিকে পারিবারিক পূনঃমিলনর ব্যবস্থাকরে দিলেন।
বাকি ১১টি পরিবারকে একত্রিত করতে সক্ষম না হওয়ায় এবং নির্যাতিত স্ত্রী ও তাঁদের স্বাক্ষীরা স্বামীর বিরুদ্ধ সাক্ষ্য দেওয়ায় এবং স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযাগ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ স্বামীক বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
আপোষ নিষ্পত্তিকৃত মামলার বাদী-বিবাদী পক্ষর স্বজনদের দাবি, সংসার থেকে বিতাড়িত ছোট ছোট সন্তানাদি নিয়ে ওই নারীদের জীবন ছিল চরম দুর্দশাগ্রস্ত।
এসব দুঃখ বেদনা আর দীর্ঘশ্বাস আদালত অঙ্গণ ভারি থাকত।
শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে এই রায়ে ৫৪টি পরিবারকে বিশৃঙ্খলার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে দিলেন।।
কারণ এসব মামলার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি না হলে ছোট ছোট শিশুরা পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে অযত্নে অবহলায় বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ অন্ধকার নিপতিত হত।
এই রায় অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভাকট নাটু রায় জানান,‘আদালত পথক ৬৫ টি নারী-শিশু নির্যাতন দমন মামলার রায় প্রাদন করেছেন। ১১ টি মামলায় ১১ জন স্বামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে এবং বাকি ৫৪টি মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে আপোষের মাধ্যমে নিস্পত্তি করে দিয়েছেন। এর আগেও এই বিজ্ঞ বিচারক তিনি যুগান্তকারী রায় দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
এভাবে যদি বিচারকার্য চলে এবং মামলার নিস্পত্তি হয় তাহলে বিচার ব্যবস্থস্র উন্নতি হবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ তাদের সুবিচার পাবেন বলে তিনি আশাবাদ জানান।
প্রসঙ্গত.-গত বছরর ২৫ নভম্বর একই আদালতর বিচারক মা.জাকির হাসন একদিন পথক ৪৭ টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় ৪৭টি পরিবারক আপাষর মাধ্যম তাঁদর স্বাভাবিক জীবন ফরত পাঠাত সক্ষম হয়ছিলন। এনিয় মাট ১০১ টি পরিবার ধংসর হাত থক রক্ষা হল।