প্রতিনিধি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৫:২৬:৩১ অনলাইন সংস্করণ
মাহমুদ আহসান হাবিব ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঘড়বাড়ি ছাড়া অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের তাঁতীপাড়ায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদদিকদের সাথে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পরিবারের সদস্য বিউটি আক্তার, মাসুমা সুলতানা, জোসনা বেগম, এলাকাবাসি রাসেল ও ইব্রাহিমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়া পরিবারের পক্ষে মাসুমা সুলতানা রত্না লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শহরের এসিল্যান্ড বস্তি এলাকায় জমি বিরোধের জেরে আদম আলী ও তার ছেলে শাকিল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এতে পরিবারের বেশ কয়েকজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবারো শাকিল ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা রেজাউল, রুবেল,রাজুর উপর হামলা চালায়। এসময় প্রাণের ভয়ে কর্মরত জরুরি বিভাগের লোকজন অন্যত্র আশ্র্রয় নেয়।
পরদিন দেবর রুবেলকে সদরের জামুরিপাড়া বাসা থেকে তুলে এনে বেধরক মারপিট করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আমরা আমাদের ক্রয়কৃত জমি ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু জোরপূর্বক আদম আলী ও তার ছেলে শাকিল আমাদের বেশকিছু জমি দখল করেছে। জমি দখলের বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান ইতোমধ্যে দুটি মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসে। আদম আলী একজন মাদক ব্যবসায়ী, দাঙ্গাবাজ, ও চাঁদাবাজ।
এছাড়া আদম আলীর ছোটভাই সোহেল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের ও মাদকের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আদম আলীর সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানী করছে।
এ অবস্থায় আমাদের বসতভিটায় পরিবারের সদস্যরা প্রবেশ করতে গেলে অনবরত প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। বসতবাড়িতে রেখে আসা আসবাপত্র ভাংচুরসহ স্বর্নলঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে তারা। থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি আমাদের মামলা না নিয়ে উল্টো দূর্ব্যবহার করেন।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে জনসন্মুখে তুলে ধরার জন্য অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসী হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবি করে ভুক্তভুগি পরিবারের সদস্যরা।