প্রতিনিধি ১৮ জানুয়ারি ২০২১ , ১:৩৮:৩৯ অনলাইন সংস্করণ
ছবি সংগৃহীত
আসাদুজ্জামান রাকিব, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিনিধি।। নোয়াখালীর হাতিয়ায় এবার পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় ওই পল্লী চিকিৎসক এক নারীকে নিয়ে পাশের একটি পরিত্যক্ত ভবনে গেলে কয়েকজন যুবক বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তারা ভেন্টিলের ভেঙ্গে বের হলে যুবকরা তাদের আটক করে। এসময় তাকে বিবস্ত্র করে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করে। পরে সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে ওই গ্রাম্য ডাক্তার হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ৫ জন আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছেন, উপজেলার মোল্লা গ্রামের আবদুল হোসেন মেকারের ছেলে, জিয়া বাহিনীর প্রধান জিহাদ (৩০), আদর্শ গ্রামের মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০), মিয়াজী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০), একই গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে আবু তাহের (২৭) ও একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে নবীর উদ্দিন (২৭)।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, এলাকার কিছু বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও এক গৃহবধূকে মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
এদিকে এরআগে গত ১ জানুয়ারি স্বামীর অনুপস্থিতিতে ওই নারীকে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এ সময় তিনি এবং তার ছেলে-মেয়েদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় গত ৪ জানুয়ারি তিনি থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ মামলাটি নেয়নি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।