প্রতিনিধি ১৭ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:৩৯:১৮ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। সুনামগঞ্জের কাইয়ারগাওঁ গ্রামের ভূমিখেকো সন্ত্রাসী জামায়াত শিবিরের পৃষ্টপোষক নজরুল ইসলাম,শুক্কুর আলী ও সামু মিয়া গংদের নেতৃত্বে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর ও সদর যুব-মহিলালীগের ৩নেত্রীসহ ৬টি নিরীহ পরিবারে বাড়িঘরে হামলা, লুটপাঠসহ নারীপূরুষকে পিঠিয়ে আহত করার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বিকেলে ভূক্তভোগী পরিবার ও স্বজনদের আয়োজনে সুনামগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিণার ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা যুব শ্রমিকলীগের সভাপতি একে মিলন আহমদের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন,সাংবাদিক নেতা সিরাজুল ইসলাম শ্যামল,মুহিবুর রেজা টুনু,কাইয়ারগাওঁ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ মো. ফরিদ মিয়া,শহীদ মিয়া,সাদিক মিয়া,জেলা সৈনিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম শহীদুল ইসলাম,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আবুল খায়ের,যুব শ্রমিকলীগের আফজাল হোসেন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা জহির আহমদ সুহেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন গত ১৫ই জানুয়ারী রাত ৯টায় ও ১৬ই জানুয়ারী ভোরে দু’দফা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাওঁ গ্রামের স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের মদদপুষ্ট ভূমিখেকো সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম, শুক্কুর আলী, সামু মিয়া, ওমর ফারুক, মকবুল হোসেন,নেতৃত্বে ৭০/৮০জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র দাড়াঁলো অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল,রামদা,লোহার রড়,বল্লম নিয়ে বঙ্গঁবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর শেষে গ্রামের নিরীহ হুরা মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে তার ছেলে মো. ফরিদ মিয়া,আব্দুস শহীদ,অহিদ মিয়া,সাদেক মিয়া,আব্দুস শহীদের স্ত্রী সদর উপজেলা যুব মহিলালীগের সহ সভাপতি লতিফা বেগম,সাংগঠনিক সম্পাদক খোদেজা বেগম ও যুগ্ম সম্পাদক নুরজাহান বেগমের বসতবাড়িসহ ৬টি পরিবারের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর কুপিয়ে ছিন্নবিছিন্ন করে ঘরের আলমারির ড্রয়ার থেকে নগদ ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাঠ করে নিয়ে যায়। অবিলম্বে ঐসমস্ত হামলাকাীদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান। ##
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ২৬ শে অক্টোবর উক্ত ভূমিখেকো চক্রটি হুরা মিয়ার বাড়িটি জোরপূর্বক দখলের অংশ হিসেবে একই কায়দায় দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে তাদেরবাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নারীপূরুষসহ ৮জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফরিদ মিয়া বাদিহয়ে নামাংঙ্কিত ব্যক্তিদের আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করলে ও বাকি আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়ালে ও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করায় পূনরায় ঐ চক্রটি আবারো তৃতীয়বারের মতো হামলার ঘটনাটি ঘটায়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিাবরের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান তারা।