প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২১ , ১১:৪৪:৩৬ অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নের কান্দিগাও গ্রামের অসৎ সাবরেজিস্টার অফিসের পিওনের হাতে অসহায় পরিবারের মা ও মেয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শাল্লা উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নের কান্দিগাও গ্রামে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে শাল্লা ইউনিয়নের কান্দিগাও গ্রামের অসহায় এনামূল হকের স্ত্রী ও মেয়ে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় আহতের স্বামী এনামুল হক বাদি হয়ে শাল্লা থানায় কান্দিগাও গ্রামের হানিফ মিয়ার পুত্র অসৎ সাবরেজিস্টার অফিসের পিওন মোহন মিয়া, আতাউর মিয়া,সাগর মিয়া, ৩ জনকে আসামীকে করে শাল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের দায়ের করেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, এনামুল হক জীবিকাহ নির্বাহের তাগিদে অন্য জাগয়ায় কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। এনামুল হকের স্ত্রী ও মেয়ের সংঙ্গে সামান্য কথা কাটা-কাটি নিয়ে একই গ্রামের অসৎ সাবরেজিস্টার অফিসের পিওন দাঙ্গাবাজ মোহন মিয়া এনামূল হকের বসত ঘরে গিয়ে তার ভাই ভাতিজা নিয়ে এনামুল হকের স্ত্রী ও মেয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন করে। মোহন মিয়া ও তার ভাইদের অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের প্রাণ রক্ষার জন্য সুর চিৎকার করিলে স্থানীয় মানুষজন এগিয়ে আসলে এনামুল হক সহ তার বাহিনীরা পালিয়ে যায়। তাদের অবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বর থাকায় শাল্লা উপজেলা হাসতালের চিকিৎসকরা আজমিরীগঞ্জ হাসতালে প্রেরণ করে। মোহন মিয়া’র এই অমানবিক নির্যাতন দেখে শাল্লা উপজেলার কান্দিগাও গ্রামের সাধারণ মানুষেরা তর-তর করে কাপছেন। অভিযোগে এনামুল হক আরো উল্লেখ করে বলেন, আমি নিরহী মানুষ আমার স্ত্রী – ও মেয়েকে নির্যাতনের আগে ওরা আমাকে প্রাণে মারার উদ্দ্যেশ্যে একবার দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিলো। সেই আক্রমনের রেশ কাটতে না কাটতেই সামান্য একটা কথা নিয়ে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করে। ওরা আমার বসত ঘর থেকে একটি স্বর্নের চেইন ও নগদ বিশ হাজার ৫ শত টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী ও মেয়ে হাসপাতালে সিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। যে কোন সময় ওদের প্রাণহানি হতে পারে। আমি শাল্লা উপজেলা প্রশাসন সহ উর্ধতন মহলের নিকট ভিক্ষা চাচ্ছি যে ওদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ছাতক পৌরসভার নির্বাচনী ডিউটিতে আছি। থানায় গিয়ে খোঁজ খবর নিবো।