প্রতিনিধি ১২ জানুয়ারি ২০২১ , ৬:২৭:০৫ অনলাইন সংস্করণ
ছবিঃ ১ম ও ২য় ছবি স্পষ্ট দিনের আলোতে বাসার সামনে তোলা।
স্টাফ রিপোর্টার।। শাল্লা উপজেলার জন নন্দিত চেয়ারম্যান ও শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরীর) কে নিয়ে একটি বেনামি ফেসবুক আইডি থেকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
‘দরবেশ পাগলা’ নামের এই আইডি থেকে ভিত্তিহীন ও মনগড়া কল্পিত তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে।
দুইটি ছবির মধ্যে একটি ছবিতে আল আমিন চৌধুরীর ডানে দিরাই সেন মার্কেটের বাটা সু ডিলার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ মুকুল চৌধুরী ও সর্ব ডানে দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়।
মুকুল চৌধুরী দৈনিক ভাটি বাংলা ডটকম কে জানিয়েছেন শাল্লায় উনার চলমান ব্যবসায়ী কাজের আলাপ করতে উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরীর সাথে আলাপ করতে এসে ছিলেন।
আর এই ছবিটি পৌর নির্বাচনের ১০ দিন পরে (৭ জানুয়ারি ২০২১ এর) শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী দিরাই উনার আত্মীয় জগদল ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রাজ্জাক এর সুযোগ্য উত্তরসূরী মহসিন মিয়ার বাসার সামনে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে তোলা–।
অথচ ফেক আইডি ‘দরবেশ পাগলা’ নামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এটাকে দিরাই পৌরসভার নির্বাচনের পূর্বে নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে চিত্রিত করেছে!
অপর ছবি নির্বাচনের আগের দিনের সকাল ১০ টার পরে মহসিন মিয়ার বাসার সামনে প্রকাশ্যে তোলা হয়েছে। ছবিতে আল আমিন চৌধুরীর ডানে তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এবং নৌকা প্রার্থীর একনিষ্ঠ সংগঠক আব্দুল কুদ্দুস ও বামে দিরাই পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের ২ য় বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল কুদ্দুস এর জেষ্ঠ্য ছেলে এবিএম মাসুম প্রদীপ আর পিছনে দাঁড়ানো বাসার মালিক মহসিন মিয়া ও পাশের বাসার মালিক সোহাগ মিয়া।
এখানে মোশাররফ মিয়া এবং তার লোকের উপস্থিতি কোথায় পেলেন ‘পাগলা’?
কাউন্সিলর এবিএম মাসুম প্রদীপ বলেন আমাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরীর সাথে তাই আমি দেখা করেছি।
আমার পিতা এবং উনার পিতা দিরাই শাল্লা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের প্রথম সারির শীর্ষ নেতা ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবেশী জানিয়েছেন আল আমিন চৌধুরী’র সাথে মধ্য রাতে নৌকার প্রচারণার থাকা শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং এমপি ড জয়া সেনের ও প্রদীপ রায় এর অত্যান্ত আস্থাভাজন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী বেগ, যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান, আ’লীগের নেতা ও ইউপি মেম্বার নুরে আলম, আল আমিন চৌধুরীর সার্বক্ষণিক ছায়া সঙ্গী আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর মিয়া মহসিন মিয়ার বাসায় এসে সাক্ষাৎ করে মতবিনিময় করেছেন, সেখানে জেলা পরিষদ সদস্য আবু আব্দুল্লাহ চৌধুরী মাসুদও উপস্থিত ছিলেন। আর নির্বাচনী আচরণ বিধিনিষেধ এর জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি’দের পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করা সম্ভব নয় তাই উনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করতে নয় আত্মীয়ের বাসায় রাত্রিযাপন করতে সিলেট থেকে শাল্লা যাওয়ার পথে উঠে ছিলেন।
দৈনিক ভাটি বাংলাকে যুবলীগের এক নেতা বলেন- দিরাই উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন রায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন ও জনসংযোগ করেছেন এখন নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়ে একটি কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী উনার আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে উনি কয়েক বছর ধরেই দিরাই আসা-যাওয়া করছেন।
আর দিরাই’র এই বাসায় উনি আসলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী’রা যেমন উনার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন তেমনি দিরাই’র বিভিন্ন সামাজিক ব্যক্তিত্বও উনার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন এতে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিস্কার করে বিতর্ক সৃষ্টি করে কে-বা কারা পরিস্কার জল গাধার মতো ঘোলাটে করছে আমি তা জানিনা তবে এসব অন্ধকারের নোংরা মনের লোকদের অপপ্রচারে আল আমিন চৌধুরীর কিছু যায় আসে না।
আল আমিন চৌধুরীর পরিবার শুধু দিরাই শাল্লা নয় সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম উচ্চ শিক্ষিত ও সজ্জন প্রতিষ্ঠিত ভদ্র আওয়ামী পরিবার।
উনার বড় ভাই পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে এখন র্যাব মহা পরিচালক হিসেবে সততা ও সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
উনার পিতা ছিলেন শাল্লা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
উনার ছোট ২ ভাই শাহ জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর।
এছাড়াও উনাদের পরিবারের অনেক আত্মীয় স্বজন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাই এমপি’তে দাঁড়াতে উনি ষড়যন্ত্র কেন করবেন -?
উনি বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান মেয়াদ এখনো অর্ধেক আর বর্তমান এমপি ড. জয়া সেনের সাথে উনার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান এবং সংসদ নির্বাচন কয়েক বছর বাকি এমতাবস্থায় এমন মিথ্যে অপপ্রচার চালানো গর্হিত অপরাধ ও অপবাদ ছাড়া অন্যকিছু নয়।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গভীর আস্থা ও বিশ্বাসে আল আমিন চৌধুরীকে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন, ১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে আল আমিন চৌধুরী’ কে সেন বাবু প্রার্থী করেছিলেন, উনি চাইলেই পারিবারিক ও ভাইয়ের প্রভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারতেন কিন্তু আল আমিন চৌধুরী স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী বলে- সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনোরুপ কারচুপি বা প্রশাসনিক অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করেননি। এছাড়াও আমাদের নেত্রী ড. জয়া সেন গুপ্তা এমপি গৃহিনী থেকে নির্বাচনে আসলে দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরীর অনবদ্য অবধানে ও সীমাহীন পরিশ্রমের বিনিময়ে বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে উনি নির্বাচিত হতে পেরেছেন।
তাই আমাদের নেতা আল আমিন চৌধুরী’কে নিয়ে ফেক আইডি’র মাধ্যমে
অপ-প্রচার চালানোর হোতাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।