প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২১ , ৭:৩৬:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
ইকবাল হোসেন রিজন মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: বড়লেখার সুজানগরের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী তরল সোনা খ্যাত পণ্য ‘আগর শিল্পের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের বেইজ লাইন সার্ভে পরিচালনা সংক্রান্ত কর্মশালা শনিবার সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর আয়োজন করে। ব্যবসায়ীরা আগর-আতরের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানান। উক্ত কর্মশালায় স্থানীয় আগর-আতর ব্যবসায়ী, কারখানা মালিক, আগর শ্রমিক, নার্সারী মালিক, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
মৌলভীবাজার বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জোহুরুল হকের সভাপতিত্বে ও উপ-ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. গোলাম মো. ফারুক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, বিসিকের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক খোন্দকার আমিনুজ্জামান, বিসিকের ডিজিএম (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী মুহাম্মদ রাশেদুর রহমান, বড়লেখা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত, সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান নছিব আলী, বাংলাদেশ আগর-আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফ মুহিত সয়েফ, বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস, সাংবাদিক আব্দুর রব, সুলতান আহমদ খলিল, আগর-আতর ব্যবসায়ী সাহেদুল মজিদ নিকু, আব্দুল বাছিত, নার্সারী মালিক ছওয়াব আলী প্রমুখ।
উন্মুক্ত আলোচনায় আতর ব্যবসায়ীরা জানান, আতর সম্পুর্ণ একটি রপ্তানীযোগ্য পণ্য। বৈধপন্থায় আতর উৎপাদন করেও নানা আমলাকান্ত্রিক জটিলতায় তারা আতর রপ্তানীতে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হন। বিভিন্ন বিদেশ যাত্রীর সাথে আতর পাঠাতে হচ্ছে। সরকারী কাগজপত্র প্রাপ্তির দীর্ঘসুত্রিতায় বিদেশী অর্ডার হাতছাড়া হয়ে যায়। এখনও আগর-আতর ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় সরকারী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন, মান নিয়ন্ত্রণ, শিল্প সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, উন্নত মানের চারা উৎপাদন, নার্সারী মালিকদের পৃষ্টপোষকতা, ফ্যাক্টরী মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ, আগর রপ্তানীর সরকারী কাগজপত্র প্রাপ্তি সহজকরণ সহ এ শিল্পকে বেগমান করার উদ্যোগ নেয়া হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গার্মেন্টস শিল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী আগর-আতর শিল্প।