প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২১ , ৯:০২:৫০ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্ক: স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগ বিশাল বিজয় পেয়েছে। ১৬ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার অনুষ্ঠিত ৬০ পৌরসভার মধ্যে ৪৪ টিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা মাত্র ৪টিতে জয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপা একটিতে ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ একটিতে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৭টিতে। পাবনার সুজানগরে সীমানা জটিলতায় শেষ মুহূর্তে ভোট আটকে গেছে।
বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী ৬০টি পৌরসভার মধ্যে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের গোলাম হাসনাইন রাসেল, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আওয়ামী লীগের জুয়েল আহমদ, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমেদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নাদের বখত, ছাতক পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবুল কালাম, জগন্নাথপুর পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তার হোসেন, হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভায় বিএনপির হাবিবুর রহমান, নবীগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির সাবির আহমেদ চৌধুরী, ঢাকার সাভারে আওয়ামী লীগের আব্দুল গনি, দিনাজপুর পৌরসভায় বিএনপি সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুরের বিরামপুরে আওয়ামী লীগের আক্কাস আলী, বীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন বাবুল, ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খ ম কামরুজ্জামান মালেক ও ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ ইসাহাক হোসেন মালিথা।
মাগুরা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী খুরশিদ হায়দার টুটুল, সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগের মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, রাজশাহীর কাকনহাটে আওয়ামী লীগের একেএম আতাউর রহমান, বাগমারায় (ভবানীগঞ্জ) আওয়ামী লীগের আব্দুল মালেক, আড়ানিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী, নওগাঁ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রেজউল কবির চৌধুরী, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আওয়ামী লীগের লতিফুর রহমান রতন, কেন্দুয়ায় আওয়ামী লীগের আসাদুল হক ভুঁইয়া ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের মোক্তাদির মাওলা সেলিম।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে আওয়ামী লীগের আব্দুল হান্নান তালুকদার, কুষ্টিয়া সদরে আওয়ামী লীগের আনোয়ার আলী, ভেড়ামারায় জাসদের আনোয়ার কবীর টুটুল, মিরপুরে আওয়ামী লীগের এনামুল হক মালিথা, কুমারখালীতে আওয়ামী লীগের সামসুজ্জামান অরুণ, নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হাসিনা গাজী, শরীয়তপুর সদরে আওয়ামী লীগের পারভেজ আলী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন ফাকু, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পার্টির আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ও দিনাজপুর সদরে বিএনপির সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সেলিম রেজা লিপন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গোলাম কিবরিয়া, নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান মনির, গুরুদাসপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শাহনাজ আলী ও গোপালপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রোকসানা মোর্তজা লিলি, বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান মতি, শেরপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র জানে আলম খোকা, উল্লাপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের এসএম নজরুল ও বেলকুচি পৌরসভায় স্বতন্ত্র সাজ্জাদুল হক রেজা।
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আহমদ আলী, পিরোজপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মালেক, ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আওয়ামী লীগের কাজী আশরাফুল আজম, খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের নির্মলেন্দু চৌধুরী, বান্দরবানের লামায় আওয়ামী লীগের জহিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের সদরে আওয়ামী লীগের সৈয়দ আবদুর রউফ মুক্তা ও রায়গঞ্জে আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ আল পাঠান।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুজ্জামান বকল, কুমিল্লার চান্দিনায় আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন ভূঁইয়া, ফেনীর দাগনভূঞা আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক খান, শরীয়তপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের পারভেজ রহমান জন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আওয়ামী লীগের সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসীন, নরসিংদীর মনোহরদীতে (ইভিএম) আওয়ামী লীগের আমিনুর রশিদ সুজন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগের বিল্লাল হোসেন সরকার, বগুড়ার সান্তাহারে বিএনপির তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের আবদুল কাদের মির্জা ও বাগেরহাটের মোংলা পোর্টে আওয়ামী লীগের শেখ আব্দুর রহমান।
উল্লেখ্যঃ শনিবার ৬০টি পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন মোট ২২১ জন প্রার্থী। ৬০টির মধ্যে ২৮টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। বাকি ৩২টিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হয়েছে।
৬০ পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী ২২১ জন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ৭৪৫ এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৩২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসব পৌরসভায় মোট ভোটার ২২ লাখ ৪০ হাজার ২২৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ আট হাজার ৪৩১ জন এবং নারী ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩১ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৮০টি এবং ভোটকক্ষ ছয় হাজার ৫০৮টি।