প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২১ , ১১:২৭:৩০ অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও থেকে মাহমুদ আহসান হাবিব॥ আসন্ন পৌর নির্বাচন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে রমরমা ভোটের আলোচনা। চা স্টল থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় ও জনসমাগমস্থলে একমাত্র আলোচনার বিষয় “কে হচ্ছেন পরবর্তী নৌকার মাঝি”।
এরইমধ্যে বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করলেও সবাই তাকিয়ে রয়েছে কে পাচ্ছেন নৌকার মনোনয়ন। নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি দেড় ডজন খানিক প্রার্থী থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিন থেকে চারজন। এর আগে পৌর পিতা সরকার দলীয় না থাকায় উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার মানুষ। তবে এবার ভোটাররা আশা করছেন পৌর সভার উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে সরকার দলীয় পৌর পিতার হাত ধরেই। যে কজন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সাংসদের আশির্বাদপুষ্ট জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র বাবলুর রহমান, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও গত বারের পরাজিত নৌকার প্রার্থী তহমিনা আখতার মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রেল মন্ত্রীর ভাগনে আ স ম গোলাম ফারুক রুবেল । এছাড়াও জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল সহ বাকি প্রার্থীরাও দলীয় সমর্থণ আদায়ে দেন দরবার অব্যাহত রেখেছেন।
তবে এর আগে ভোটারদের সাথে জন সংযোগ কালে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি বাবলুর রহমান জানান, মনোনয়ন পেলে ও নির্বাচনে জয়ী হলে ঠাকুরগাঁওকে একটি মডেল পৌরসভা হিসাবে গড়ে তোলাই তার প্রধান লক্ষ্য। পৌরসভাকে মাদকমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তুলবেন। পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য একটি আধুনিক পৌর পার্ক প্রতিষ্ঠা সহ শিশুদের জন্য একমাত্র শিশুপার্কটি সংষ্কার করে যুগোপযোগী আধুনিক শিশুপার্ক নির্মাণের অঙ্গীকার করেন। বাবলুর রহমান এর আগে ৫ বছর সফল প্যানেল মেয়র ছিলেন।
এছাড়াও তিনি নিজস্ব উদ্যোগে ও ব্যবস্তাপনায় বেসরকারী পর্যায়ে জেলায় কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে একটি পাটকল প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র থাকাকালীন সময়ে এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যানে সরকারী এবং ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তিনি কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় সরকারী সন্মানীর টাকাও জনগণের কল্যাণে ব্যায় করেন।
উল্লেখ্য, বিগত মেয়াদে ঠাকুরগাঁওয়ে পৌর মেয়র বিএনপির মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগেিরর আপন সহোদর মির্জা ফয়সল আমিন তার মেয়াদে শহরের রাস্তাঘাট সহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে করেন পৌরবাসীর অনেকেই। তাই এবারে স্বেচ্ছায় মির্জা ফযসল মেয়র প্রার্থি হিসেবে নিজেকে সরিয়ে নিলে অন্য প্রার্থীকে চুরান্ত করে জেলা বিএনপি।