• ইসলামি জীবন

    হেফাজতের আমীর বাবুনগরীসহ ফয়জুল -মামুনুলের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানালেন চরমোনাই পীর

      প্রতিনিধি ৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ২:৪৪:৩৯ অনলাইন সংস্করণ

    ভাটি বাংলা ডেস্ক।। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম, হেফাজতে ইসলামীর আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
    মঙ্গলবার (৮ডিসেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান অস্থিরতা ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আহুত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির আমির।
    লিখিত বক্তব্যে মুফতি রেজাউল করীম বলেন, আমরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মাওলানা মামুনুল হকের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা দেশের ওলামা সমাজকে এবং সম্মানিত ধর্মীয় ব্যক্তিদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে, কটূক্তি করে, ব্যাঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করে অপমান অপদস্ত করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়, সংঘাত, মারামারি ও মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানায় তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।
    তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেবে। আর সরকার যদি ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিজেদের নিরাপত্তা, মর্যাদা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার রক্ষার প্রয়োজনেই দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
    চরমোনাই পীর আরও বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঢাকা কেন্দ্রের প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে স্থাপিত হতে যাওয়া ভাস্কর্য নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ৫/৭টি মসজিদের মিলন মোহনায় ২টি মসজিদের অবকাঠামো ভেঙে এই পয়েন্টে ভাস্কর্য স্থাপনের ফলে স্থানীয় ইমাম-মুসল্লি ও তৌহিদি জনতা সেখানে ভাস্কর্যের বদলে বিকল্প কোনো উত্তম পন্থায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখার দাবি জানিয়েছিল। সরকারের বিদ্যমান আইন-কানুন মেনে তৌহিদি জনতা সমাবেশ করেছে, সেখানে শালীন ভাষায় যৌক্তিকভাবে ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়েছে। একই সাথে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানানোর বিকল্প পন্থাও প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়টি একেবারে স্বাভাবিক নাগরিক প্রতিক্রিয়া। কিন্তু একটি সুবিধাভোগী মহল বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দেশে চরম উস্কানি ও উত্তেজনা তৈরি করছে।
    তিনি বলেন, ওলামায়ে কেরামদের দাবির মধ্যে মরহুম বঙ্গবন্ধুর প্রতি কোনো বিদ্বেষ অসম্মান ছিল না। বরং বিষয়টি ছিল দেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনগণের বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মূর্তি স্থাপন না করে অন্য কোনো পন্থায় তাকে স্মরণ করার দাবি।

    আরও খবর

    Sponsered content