• লিড

    রুহিয়ায় বালু-মাটি পরিবহনে সড়কের সর্বনাশ, বিপন্ন জনজীবন

      প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ২:২৬:৩৩ অনলাইন সংস্করণ

    ঠাকুরগাঁও থেকে মাহমুদ আহসান হাবিব।ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া থানাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে নদী থেকে বালু এবং ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার পর তা পরিবহনের জন্য অবৈধ ভাবে পাকা সড়ক ও কাঁচা রাস্তা কাটা হয়েছে। উপরন্তু বালু ও মাটি বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়ক ও রাস্তা গুলো ভেঙে গিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। অবৈধ বালু, মাটি বহনকারী ট্রলি ও ট্রাক্টরের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে অকালে ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। পথচারীসহ জনসাধারণকে সার্বক্ষণিক আতংকের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। কিন্তু চোখের সামনে অবৈধ এই যানের অবাধ চলাচল দেখেও অদৃশ্য কারণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

    সড়ক গুলোর দুরবস্থার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার হাজারো মানুষ। জন প্রতিনিধিসহ সচেতন এলাকাবাসী অবৈধভাবে সড়ক ও রাস্তা কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

    রুহিয়া থানাধীন রাজাগাঁও ইউনিয়ন, ঢোলারহাট ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ছোট নদী টাঙ্গন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। বালু তোলার পর ট্রাক্টর ও ট্রলি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নদী থেকে সড়কে ট্রাক্টর ও ট্রলি ওঠানামার জন্য যত্রতত্র পাকা সড়ক ও কাঁচা রাস্তা কাটা হয়েছে।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বালু তোলার জন্য রাজাগাঁও ও ঢোলারহাট ইউনিয়ন এবং ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন ও ২০নং রুহিয়া ইউনিয়নে ফসলি জমির মাটি পরিবহনের জন্য সড়ক কাটা হয়েছে।

    রাজাগাঁওয়ের মোঃ আল আমীন এবং রুহিয়া ইউনিয়নের আবু সাঈদ জানান, বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টর-ট্রলি ওঠানো-নামানোর জন্য সড়কের পাশের আট থেকে দশ হাত কেটে ঢাল তৈরি করেন। সেই জায়গা দিয়ে বালু ও মাটি বোঝাই যানবাহন ওঠানামা করায় সড়ক বা রাস্তা কাটার স্থানটি ধীরে ধীরে ধসে যেতে থাকে।

    ঢোলারহাট, রাজাগাঁও এলাকায় গিয়ে বালু উত্তোলনকারী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন প্রতিটি স্থান থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ ট্রাক্টরে করে বালু পরিবহন করা হয়।

    ঢোলারহাট ইউপির চেয়ারম্যান নির্মল কুমার সিমান্ত বলেন, একটি সড়কের জন্য প্রত্যন্ত এলাকার জনগণকে অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর। সরকারের খরচ হয় কোটি কোটি টাকা।

    রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো: মনিরুল হক বাবু জানান, যথাযথ সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাঈল হোসেন জানান, সড়ক কাটা অপরাধ। তা ছাড়া গ্রামের সড়ক গুলো প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। এসব কারণে দ্রুত গ্রামীণ সড়ক গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগামী আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করবো।

    সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে যত্রতত্র সড়ক কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content