প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ২:৪০:৩৮ অনলাইন সংস্করণ
এম এ মোতালিব ভুঁইয়া। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ বীরপ্রতীক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।বৃহস্পতিবার(২৪ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতালে তাকে দেখতে যান দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা। এ সময় তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং আশু সুস্থ্যতা কামনা করেন।
পারিবারিক সুত্রে যানাযায়,দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত থাকায় দুই দফা অপারেশন করে তাঁর বাম পায়ের ৩টি আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছে। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকলে গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি সিলেট ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিনই অপারেশন করে তাঁর বাম পায়ের দু’টি আঙুল কেটে ফেলা হয়।
বর্তমানে ডায়াবেটিস হাসপাতালের ৫১০ নম্বর ওয়ার্ডের ২১ নম্বর সিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা (আজবপুর) গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তিনি এখন শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ায় দিন দিন তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিনি খেতাবপ্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও হাসপাতালে কেবিন পাননি। সাধারণ সিটে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চালাচ্ছে ডায়াবেটিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ বীরপ্রতীক ১৯৭১ সালে ৫ নম্বর সেক্টরের চেলা (বাঁশতলা) সাব-সেক্টরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসীম বীরত্বের জন্য আব্দুল মজিদসহ ৪৪৪ জন রণবীরকে ‘বীরপ্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ করে তিনি চেলা (বাঁশতলা) সাব-সেক্টরের অধীনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জাউয়া সেতু ধ্বংসের অভিযান এবং গোবিন্দগঞ্জ বুরকী গ্রামে অনুষ্ঠিত যুদ্ধে দুঃসাহসী রণকৌশলের জন্য তাঁকে এই বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৯১ সালে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বীরপ্রতীক পদক গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি একাধিকবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেশ স্বাধীনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হন।