• গ্রেফতার/আটক

    জগন্নাথপুরে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষঃ বন্দুক এর গুলিতে ৮ জনসহ আহত ১৭, আটক ১২ জন

      প্রতিনিধি ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ৯:০০:৩৬ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুর এর পল্লীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রায় ১৭ জন আহত হয়েছেন। তমধ্যে বন্দুক এর গুলিতে আহত ৮ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য সহ ১২ জনকে আটক করার পাশাপাশি লাইসেন্সকৃত একটি বন্দুক আটক করেছে থানা পুলিশ।

    এলাকাবাসী, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত নাদামপুর গ্রাম নিবাসী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়ার সাথে একই গ্রাম নিবাসী নজির হোসেন এর মধ্যে গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৫ ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার গ্রামের এক ব্যক্তির চল্লিশ দিনের শিরনীতে সিরাজ মিয়ার সাথে নজির হোসেন পক্ষের লোকজন এর কথাকাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে আজ ১৬ ই ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নজির হোসেন পক্ষের লোকজনের হাতে সিরাজ মিয়া লাঞ্ছিত হন। এরপর সিরাজ মিয়ার পক্ষের লোকজন বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছু্ড়ে। এতে কমপক্ষে ১৭ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধ আট জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতরা হলেন ফটিক মিয়া(৩৫), বিবিনুর বেগম (৫০), ফাতেমা বেগম (১৪), আব্দুল আলীম (৩০), হাফিজুর রহমান (২৫), মিটু মিয়া (২২), তাসলিমা (১৪), রুমেজ মিয়া (৩২)। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌঁছে একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক উদ্ধার ‌করার পাশাপাশি কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ ইকবাল হোসেন সাজাদ সহ উভয় পক্ষের ১২ জনকে আটক করেছে।
    জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসক শাহ আলম সিদ্দিকী জানান, গুলিবিদ্ধ আট জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
    ঘটনাস্হল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি বন্দুক উদ্ধার ও ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content