প্রতিনিধি ২২ ডিসেম্বর ২০২০ , ১১:৩৭:০০ অনলাইন সংস্করণ
এম এ মোতালিব ভুঁইয়া: দোয়ারাবাজার উপজেলার ৭নং লক্ষীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল হকের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন যে বিভিন্ন অফিস এবং সংবাদ মাধ্যমে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে ৯ ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। তারা জানান যে বিভিন্ন সময় নানা অনিয়ম ও অন্যয়ের প্রতিবাদ করায় লক্ষীপুর ইউনিয়নের সদস্য আবুল হোসেন ইচ্ছাকৃত ভাবে চেয়ারম্যানের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এ মিথ্যে ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছেন। লক্ষীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল হকের বিরুদ্ধে যেসব
অভিযোগ দায়ের করেছেন সে গুলি সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের অন্যায় কাজের পক্ষে চেয়ারম্যান এর
সমর্থন না পাওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার করছে। আমিরুল হক
জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে পরপর তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। আমরা আশাকরি আগামী নির্বাচনে ও
তিনি শতকরা ষাটভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন। মূলত তাঁর এই ব্যপক জনপ্রিয়তায় হিংসা পরায়ন হয়ে তাঁর প্রতিপক্ষের সহযোগীতায় আবুল হোসেন
মেম্বারের এই ভিত্তিহীন অভিযোগ। তিনি নির্বাচিত হবার পর থেকে ইউপির সকল সভায় সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কখনো ভয়ভীতি কিংবা পক্ষপাত অথবা নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। সকল ইউপি সদস্যই যথাযথভাবে নোটিশ খাতায় ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন এমন কি প্রতিটি মিটিংয়ের নোটিশ খাতায় ও হাজিরা খাতায় আবুল হোসন মেম্বারের স্বাক্ষর আছে। অন্য দিকে আবুল হোসেন মেম্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া ও শালিসের নামে টাকা গ্রহণের অনেক অভিযোগ বিভিন্ন সময় উঠেছে। বিগত কয়েকদিন আগে ২০২১-২০২২ ভিজিডি চক্রের ভিজিডি কার্ডের জন্য আবেদনকারীদের আবেদন যাচাই-বাছাই কালে আবুল হোসেন মেম্বার তার নিজের দুই মেয়ে ১। মোছাঃ সাহারা বেগম(২১), ২। মোছাঃ রোমেনা আক্তার(২৩) ও তার ভাইয়ের স্ত্রী মোছাঃ মনুয়ারা স্বামী: মোঃ সিরাজ মিয়া এবং তার বোন ছকিনা বিবি, স্বামী: নাছির উদ্দিন ও তার
মেয়ের জ¦া হাছিনা আক্তার (দেবরের স্ত্রী), স্বামী: আব্দুর রশিদ এবং লক্ষীপুর ইউনিয়নে বসবাস না করা অবস্থায় মর্জিনা বেগম স্বামী: হাবিজুল এর নামে অজ্ঞাত মহিলাকে ভিজিডির অন্তর্ভূক্ত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তার এই অন্যায় আবদারের প্রতি চেয়ারম্যান সাহেব ও ভিজিডি কমিটি সাই না দেয়ায় তা স্বার্থে আঘাত লাগে। এতেআবুল হোসেন মেম্বার ক্ষুদ্ধ হয়ে ঠিক নির্বাচনের পূর্ব মূহুত্বে চেয়ারম্যান সাহেবের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রতিদন্ধীদের প্ররোচনা ও সহযোগীতায় এই সমস্ত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেন। সরকারী সকল বিধি বিধান পালন করে ইউনিয়ন পরিষদের টেক্সের টাকাসহ সকল টাকা-পয়সা ব্যয় করা হয়। কোন ধরনের অনিয়ম
দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির সাথে চেয়ারম্যান সাহেব জড়িত নহে।ইতোপূবে বিভিন্ন গন্যমাধ্যম ও বিভিন্ন অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমরা আবুল হোসেন মেম্বারের এই সমস্থ হীন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।