• মুক্ত কলাম

    সত্যেকে জানুন ভুলকে সংশোধন করুন (প্রসঙ্গ আকবর গ্রেফতার)– ফারজানা মৃদুলা

      প্রতিনিধি ১২ নভেম্বর ২০২০ , ২:১৪:৪৪ অনলাইন সংস্করণ

    নানা রকম আলোচনা, সমালোচনার মাঝে কাটছে রায়হান হত্যার মূলহোতা সেই আকবর ভুইঞা গ্রেফতারের বিষয়টি।

    গত, সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ প্রেস কনফারেন্সের পর যেন এক সমালোচনার বন্যা বয়ে যাওয়া শুরু হয়।‘
    আমাদের সমাজে এখনো, এমন বহু ঘটনা ঘটে যা কিনা আবেগ কিংবা হুজুগের বসে, মুল ঘটনা আমাদের চোখেই পড়ে না।
    জেলা পুলিশ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আকবরকে আটক করেছে এবং পুলিশের কিছু বিশ্বস্ত বন্ধু আকবরকে আটকে সহায়তা করেছে।
    পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের এই বক্তব্য আমরা সকলেই শুনেছি। কারন রায়হান হত্যা কান্ডের প্রধান আসামী ধরা পড়েছে এই খবর শুনে সিলেটবাসীর মধ্যে যে,কি পরিমান উত্তেজনা কাজ করেছে তা বলা বাহুল্য। ঐ বক্তব্যে কিন্তু স্পষ্ট করে পুলিশের সোর্স দের ফরিদ উদ্দিন বিশ্বস্ত বন্ধু বলে সম্মোধন করেছেন।

    রহিম সাহেব সহ খাসিয়া সম্প্রদায় এর সেই সাহসী ভাইগুলোকে আমরা সকলে স্যালুট জানাই। তবে, গণমাধ্যমে আকবর আটকের ভিডিও ভাইরাল হবার পর, কিছু মিডিয়া সহ সাধারন মানুষ কিছু ভুল তথ্য নিয়ে তিল কে তাল বানাচ্ছেন, এটা মোটেও কাম্য নয়।
    পুলিশ বাহিনী নিয়ে আমাদের অনেকেরই তিক্ততা আছে। তবে সব ক্ষেত্রে কিন্তু তা প্রযোজ্য নয়।কেননা ইতোপূর্বেও সিলেট জেলা পুলিশ বাহিনী ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে বেশ কিছু মানবিক কাজসহ অনেক অপরাধীদের চক্র ধরতে সফল হয়েছে।এই বিষয়গুলো আমাদের সকলের কমবেশি জানা।

    গেলো মঙ্গলবার রাতে লন্ডন বাংলা অনলাইন টিভিতে সরাসরি সাক্ষাৎকার দেন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন ও সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক আবু তালেব মুরাদ।সেখানে পুলিশ সুপার পরিষ্কার করে এবং সুস্পষ্ট ভাবে সব রকম ভুল গুলো একটি একটি করে উত্তর দিয়ে সব তথ্য প্রামণ সহ খোলাসা করে দেন আকবরকে গ্রেফতার করার বিষয়ে।
    সুন্দর একটি আয়োজন করে ভুল বুঝাবুঝি সমাপ্তির সুযোগ করে দেওয়ায় ধন্যবাদ লন্ডন বাংলা চ্যানেলকে।

    স্বাক্ষাতকারে পুলিশ সুপার বলেন, পলাতক আকবরকে ধরা জেলা পুলিশের ওপর কোন বাধ্যবাধকতা ছিলোনা। কিন্তু তারপর তিনি সিলেটবাসীর আবেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং ভালোবাসার নিদর্শন হিসাবে নিজের এই জেলা পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে তার বুদ্ধিমত্তা কে কাজে লাগিয়ে এই মিশনে জয় লাভ করেছে এবং সেই দুঃসাহসী সোর্স আমাদের পুলিশ সুপারের উপাধীতে যাদের বিশ্বস্ত বন্ধু বলা হয়েছে তারা সহ। এজন্য আবারো মহানায়ক বলতে হয়,সাদা কে সাদা, কালো কে কালো বলা সেই পুলিশ সুপারকে ।স্বাক্ষাতকারের পর সিনিয়র সাংবাদিক আবুতালেব মুরাদ সাহেব লন্ডন বাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আলোচনায় অনেককিছু পরিষ্কার হয়েছে।

    এমন নেতৃত্ব কে মন থেকে শ্রদ্ধা জানাই এবং জানানো উচিৎ বলে আমি মনে করি । অথচ কিছু ভুল তথ্য শুনে আমরা নানা রকম কুৎসা রটানোর পিছে লেগে গেছি এটা ভালো কথা নয়।যদি আজ প্রশাসন (সিলেট জেলা পুলিশ) এর এত চমৎকার সফল মিশনকে আমরা সাধুবাদ না জানাই, তবে হয়ত ভালো কাজের গুরুত্বটায় কিছুটা ভাটা পড়বে।
    তাই চিলে কান নিয়ে গেলো শুনে, চিলের পিছে না দৌড়ে নিজের কানটা আছে কিনা আগে যাচাই করা দরকার।

    লেখকঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট

    আরও খবর

    Sponsered content