প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২০ , ১০:৪১:৫৪ অনলাইন সংস্করণ
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের খনিজ সম্পদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির মোলাগুল লোভাছড়া পাথর কোয়ারী, যেখান থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এবং দৈনিক হাজার হাজার শ্রমিকরাও কাজ করছে ঐ কোয়ারীতে সেই পরিশ্রমের টাকা দিয়ে তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জীবন যাপন পরিচালনা করছে, কিন্তু এখন থেকে সেই শ্রমিক তার পরিশ্রমের টাকাগুলি নিজ সংসারে পাঠানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার কিছু স্থানীয় যুবক। সকাল হতে না হতেই এলাকার স্থানীয় কিছু যুবক তাদের অবৈধ ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ৫/৭ জনের একটি টিম সংঘবদ্ধ হয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোয়ারীর তীরবর্তী কান্দলা নয়াবাজারে বাজার পরিচালনা কমিটি না থাকায় বেপরোয়া হয়ে গুরে গুরে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ভারতীয় তীর খেলার নাম্বারের টোকন কেটে গ্রাহকের মোবাইলে টুকোনের নাম্বারের মেসেজ দিয়ে টাকা কালেকশন করে এবং যেসব এরিয়ায় লেবারদের ভাতা বা প্রেমেন্ট দেওয়া হয়েছে সেইসব এলাকার লেবার সর্দারের বাসায় গিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে জুয়ার বোর্ড বসিয়ে বা তাদেরকে কান্দলা নয়াবাজারের দক্ষিন বা পশ্চিম এরিয়ার মাঠে কৌশলে এনে তারপর বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে আসা শ্রমিকদের বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে জুয়া খেলাতে বাধ্য করে পরে তারা রাত শেষে লেবার সর্রদার ও এলাকার নিরীহ শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের উপার্জিত টাকা গুলি হাতিয়ে নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। এভাবেই ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন ও মুলাগুল লোভাছড়া পাথর কোয়ারী সংলগ্ন এলাকার হাজারো যুবসমাজ ও তার পরিবারকে। এ বিষয় নিয়ে কয়েকবার বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাধা-নিষেধ প্রদান করলেও কোনো কাজেরকাজ হয় না আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তাদের মতই তারা এই অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়মিত করবে এতে কারো কিছু করার নেই বলে হুমকিও দেয়। এই আইনবিরোধী অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে কারা জড়িত ও কার নেতৃত্বে এই জুয়া ও অবৈধ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে যাদের নাম বেরিয়ে আসে তারা হলেন লোভাকোয়ারীর তীরবর্তী ডাউকেরগুল গ্রামের মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে কাওসার আহমদ সাবু (৩৫) একই গ্রামের রাইব আলীর ছেলে নাজু আহমদ (৩০) গং এদের মাধ্যমেই এই সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ এলাকায় সংঘটিত হচ্ছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার সচেতন মহল দাবি করেন লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ব্যবসায়ীদের লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান হচ্ছে এই কান্দলা নয়াবাজার, দৈনিক লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন করা হয় এই বাজারে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার হওয়াতেও নেই কোন বাজার পরিচালনা কমিটি। বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ যেকোনো পণ্যের দামের কোন নিয়ন্ত্রন নেই যার যা ইচ্ছা সে তা করতে সক্ষম হয় এবং বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে যেকোনো সমস্যা হলেও দেখার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই এই বাজার পরিচালনার মাধ্যমে। তাই মাননীয় কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করে এলাকার সচেতন মহল ও ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করে বলেন অতি দ্রুত এই বাজারে একটি বাজার পরিচালনা কমিটি গঠন করার মাধ্যমে বাজারের সুশৃংখলা ও সামাজিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। এবং এই অসামজিক আইন বিরোধী কার্যকলাপগুলো আইনের মাধ্যমে বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের সুশৃঙ্খল পরিবেশে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া এবং উল্লেখিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও কামনা করছেন।