প্রতিনিধি ১ নভেম্বর ২০২০ , ৩:২৭:১১ অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও থেকে মাহমুদ আহসান হাবিব। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ১২ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই ছাত্রীর সঠিক জবানবন্দিকে ভিন্নখাতে
প্রবাহিত করে কৌশলে জামিন নিয়ে ভূক্তভোগী পরিবারকে বিভিন্ন হুমকিসহ ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে এবং জমির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধ এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে রানীশংকৈল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী ওই পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই ছাত্রীর মা গোলাপী বেগম। তিনি জানান, গত ২৯ আগষ্ট বিকালে আমার বাড়ি থেকে পশ্চিম দিকে ৩০০ গজ দুরে উপজেলার মালিভীটা গ্রামে নতুন বাড়ি তৈরির ভিটা মাটিতে শাক তোলার জন্য যায় আমার মেয়ে । সেই সময় একই গ্রামের মনতাজ আলীর ছেলে ধর্ষক শাহিন পিছন থেকে উপস্থিত হয়ে আশপাশে
কেউ না থাকার সুযোগে মাদ্রাসা ছাত্রী নাবালিকা মেয়ের ওড়না দিয়ে মুখ চেপে
ধরে পাশের্ব নির্মানাধীন বিল্ডিং ঘরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এদিকে ধর্ষিতার মা মেয়ের শাক তুলে আসতে দেরি হওয়ায় মেয়েকে খুজতে বাহির হয় এবং মেয়েকে ওই স্থানে খুজে না পাওয়ায় পাশের্বর নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের পাশে আসলে মেয়ের চিৎকার শুনতে পেলে গিয়ে দেখি শাহিন আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে।
এতে আমার চিৎকারে ঘটনাস্থলের পাশে পুকুরে কাজ করে থাকা আমার দেবর ছুটে এসে শাহিনকে ধরে ফেলে এক পর্যায় ধস্তাধস্তি করে শাহিন পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ও জুতা উদ্ধার করা হয় । অসুস্থ অবস্থায় আমি আমার মেয়েকে থানায় নিয়ে এসে বাদী হয়ে থানায় মোবাইল,
জুতা ও রক্তাক্ত আলামত সহ ধর্ষনের মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ৩৬/১৮৯ তাং ২৯-
০৮-২০ ইং। ধর্ষণের মামলায় রানীশংকৈল থানা পুলিশ ধর্ষক শাহিনকে আটক করে
জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। পরে শাহিন ও তার পরিবার আমার মেয়ের সঠিক
জবানবন্দিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে অন্য একজনকে আসামী করে জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আসামী শাহিন ও তার লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে নানারূপ হুমকি প্রদান করে এবং আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ফলে ধর্ষন মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পায়তারা করছে আসামী পক্ষ।
এখন আমি আমার মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি এবং ন্যায়
বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকমর্ীরা
উপস্থিত ছিলেন।