প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ১:২৪:৫৪ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বোরো ফসল ফলানোর লক্ষে বীজ ক্রয় ও বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জগন্নাথপুর এর কৃষকেরা।
“ধান পাথর, মাছ, সুনামগঞ্জের প্রাণ ” হাওর কন্যা খ্যাত সুনা”মগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার হাওর গুলোর পানি কমতে শুরু করায় সোনালী ফসল বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। চলছে বীজ ক্রয়, বীজতলা তৈরী ও বোরো জমি পরিচর্যা। তৈরি করা বীজ তলায় বীজ ধান রোপনে কৃষকদের মধ্যে রীতিমতো চলছে প্রতিযোগিতা। যার ফলে হাট-বাজারে বীজ ধান বিক্রির ধূম পড়েছে।
১৪ ই নভেম্বর শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জগন্নাথপুর সদর বাজার এর ডিলার শরীফ মিয়ার দোকান ও কলকলিয়া বাজার এর ডিলার দিলিপ বাবুর দোকান সহ উপজেলার বিভিন্ন ডিলার এর দোকানে সারিবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন জাতের বীজ ধান ক্রয় করছেন কৃষকেরা।হাওরে হাওরে বীজতলা তৈরী করছেন কৃষক কূল।
বোরো ধান এর বীজ ক্রয়কারী আঃ শহীদ, জহিরুল ও সাহেদ সহ একাধিক কৃষক একান্ত আলাপকালে বলেন, গত বছর জগন্নাথপুর উপজেলার সর হাওরে সোনালী ফসল বোরো ধান এর বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের ন্যায্যমূল্যও পেয়েছেন কৃষকরা। এখনো ধান-চালের বাজার চড়া। উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে ধান-চাল। গত বছর লাভবান হওয়ায় এবার বোরো জমি আবাদে ঝাপিয়ে পড়েছেন কৃষক কূল। তৈরী করা হচ্ছে বীজতলা।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ২০ হাজার ৬১০ হেক্টর বোরো জমি আবাদ হচ্ছে। গত বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার কৃষকরা আরো উৎসাহিত হয়েছেন। আমরাও জমি আবাদে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছি। ধান এর চারাগাছ রোপণ এর পর স্বল্পদিনে ধান কেটে ঘোলায় উঠানো যায় এমন জাতের ধান এর চারাগাছ জমিতে রোপন করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।