প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২০ , ২:৫৪:৪৩ অনলাইন সংস্করণ
ওহিদুল ইসলাম, কানাইঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাটে পাওনা টাকা পাওয়ার জের ধরে শুক্রবার রাতে ছোট নজরুল ইসলাম নজুকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ভাই সহ ৩ জনকে আটক করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম নজুর পুত্র হত্যা মামলার দরখাস্তের বাদী দেলোয়ার হোসেন (২৬) জানান, জমিজমা ও পাওনা টাকা নিয়ে তার পিতার সাথে তার আপন চাচা নুরুল ইসলাম (৬০) ও চাচাতো ভাই আলা উদ্দিন (২৪) এর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় লোহাজুরী মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে নজরুল ইসলাম নজু তার ভাতিজা আলা উদ্দিনের কাছে পাওনা ১০ হাজার টাকা চান। ভাতিজা চাচাকে তার বাড়ী মিকিরপাড়া গ্রামে যেতে বলে। তার কথা অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১১টার দিকে নজরুল ইসলাম নজু ভাতিজার বাড়িতে গেলে সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে আপন বড় ভাই নুরুল ইসলাম, ভাতিজা আলা উদ্দিন ও ভাড়াটিয়া কয়েকজনকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাবাকে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে তাকে রাস্তায় ফেলে যায়। গুরুতর আহত নজরুল ইসলামের চিৎকার শুনে আশপাশ এলাকার লোক ও পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের ভাই নুরুল ইসলাম ও মিকিরপাড়া গ্রামের মৃত আলাউর রহমানের পুত্র এলাকার চিহ্নিত অপরাধী ভাড়াটিয়া খুনি সেলিম উদ্দিন (৩৫) ও তার ভাই শাহীন আহমদকে (৩২) আটক করে। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম ও থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম।
এ ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের পুত্র দেলোয়ার হুসেন বাদী হয়ে শনিবার ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানার ওসি মোঃ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হতে পারে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।