প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২০ , ৫:১৭:৫০ অনলাইন সংস্করণ
বিপ্লব রায়, শাল্লা: শাল্লা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। তিনি একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তাও বটে। ফলে উপজেলা নির্বাহী প্রধানকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ৮ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। ১৭ই মার্চ কর্মস্থলে থাকলেও এরপর থেকেই উপজেলা থেকে উধাও। উনার রাজনৈতিক হাত লম্বা থাকায় কাউকে কোনো পরোয়া করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একাধিকবার রেজুলেশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এর কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা এখনো গ্রহন করা হয়নি। তাই ক্ষমতার দাপটে কর্মস্থলে না থেকেও ঢাকায় বসে বেতন নিচ্ছেন নিয়মিত। এদিকে শাল্লা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিজুর রহমান ২০১৮ সালে যোগদান করার পরপরই মাসে ২/৪ দিন উপস্থিত থাকেন। তবে গত ১৭ই মার্চ থেকে ৮ মাস ধরে অনুপস্থিত। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এই অনুপস্থির কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারীদের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নথিপত্র পাঠানো, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা, শিক্ষাভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প তদারকি, উপবৃত্তি প্রদানসহ নানা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তাঁর কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। অফিসের অন্যান্যরা উপস্থিত থাকলেও উনাকে দেখা যায়নি।
শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, আমি একটু বাহিরে আছি। দুয়েকদিন পর অফিস করব। অফিসে এসে আপনার সাথে বসে চা খাব।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আমি উপস্থিত থাকতে দেখেছি বলে মনে হচ্ছে না। তিনি ৮ মাস ধরে কর্মস্থলেই নেই। তবে উনাকে একাধিকবার বলার পরও কর্মস্থলে উপস্থিত রাখা যাচ্ছে না।
ইউএনও মো. আল মোক্তাদির হোসেন বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ( আজিজুর রহমান) ৮মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাঁকে একাধিকবার সতর্ক করেও কোনো কাজ হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) জসিম উদ্দিন জানান, শাল্লার ইউএনও এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে। বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।