প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২০ , ৫:৫৮:৩১ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৩নং বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী ও পরিষদের সচিব বিল্পব কুমার দাস (সম্প্রতি বিদায়ী সচিব) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রমের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবরে ৩নং বাহাড়া ইউনিয়নের ১২জন ইউ/পি সদস্যের যৌথ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা অভিযোগকারী সকল শাল্লা উপজেলার ৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ইউ/পি সদস্য সদস্যা। অভিযোগে জানা যায় সম্প্রতি সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবগন বদলী হচ্ছেন। বাহাড়া ইউনিয়ন সচিব বিল্পব কুমার দাস সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদে বদলী হন। কিন্তু বাহাড়া ইউনিয়নের নতুন সচিবকে এখন পর্যন্ত দায়িত্বভার হস্তান্তর না করেই বর্তমান কর্মস্থলে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও তাহার হাতে থাকা রক্ষিত চলমান ভিডিডি’র সঞ্চয়কৃত প্রায় ৬লক্ষ টাকা ব্যাংক হিসেবে জমাদান করার কথা থাকলেও তিনি তা না করেই সময় কালক্ষেপন করছেন। গত ২০১৭ইং হতে ২০২১ইং সনের আদায়কৃত ট্যাক্সের টাকার পূণাঙ্গ কোন হিসাব প্রদান করেননি। যার ফলে ইউ/পি সদস্যদের ধারনা ইউ/পি চেয়ারম্যান ও সচিব মিলে ইউনিয়নের টাকা আত্মসাৎ করে রেখেছেন। অভিযোগ কারীরা জানান বারবার চেয়ারম্যান ও সচিবকে হিসাব নিকাশ তাদের নিকট প্রকাশ করার আহবান জানানোর পর ও সচিব বলে চেয়াম্যানের কথা আর চয়ারম্যান বলে সচিব এর কথা এভাবেই সচিব ও চেয়ারম্যান মিলে টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। যার ফলে ইউনিয়মের উন্নয়ণ কাজ বাধার সম্মুখিন হচ্ছে । দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে রয়েছেন অন্যান্ন সদস্য সহ এলাকার সাধারণ মানুষ। ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বার্থে ইউ/পি সদস্যরা জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগে দায়েরের পর বিষয়টি সরেজমিন তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
এব্যাপারে ইউ/পি সচিব বিল্পব কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি ।
এ ব্যাপারে বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান বিধান চন্দ্রকে মোবাইল ফোনে জানার জন্য ফোন দিলে তিনি জানান আমাদের সচিব এর হঠাৎ করে বদলীর আদেশ পাওয়ার কারনে হিসাব দিতে পারেননি তবে তিনি সময় চেয়েছেন এবং ব্যাংকে টাকা জমা আছে আমাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ অভিযোগ দিয়ে থাকেন কোন সমস্যা নেই তদন্ত করে যাচাই করে যদি প্রমান পাওয়া যায় তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।