• লিড

    মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে ঠাকুরগাঁও জেলার কর্নেট সাংস্কৃতিক সংসদ”

      প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২০ , ১২:৪০:০৩ অনলাইন সংস্করণ

    মাহমুদ আহসান হাবিব, ঠাকুরগাঁও: উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক গানগুলো লোকজ সংস্কৃতির গ্রামীণজীবনের প্রাণের স্পন্দন। এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে করোনাকালেও কিছু কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন চালিয়ে যাচ্ছে শিল্প ও সংস্কৃতির চর্চা।

    স্বাধীনতার গানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে ঠাকুরগাঁও জেলার কর্নেট সাংস্কৃতিক সংসদ।

    জানা যায়, ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ক্রিড়া অঙ্গনে কাজ করে ১৯৯০ সালে সংঙ্গীত ও শিল্প সাহিত্য অঙ্গন সম্পৃক্ত করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিরলস ভাবে কাজ করে জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূনিকা পালন করে যাচ্ছে কর্নেট সংস্কৃতি সংসদ।

    এ সংগঠনটির নিজস্ব ভবন না থাকায় শিল্পীরা নানা প্রতিকুলতায় চলছে সাংস্কৃতি কার্যক্রম।

    আর এ সংগঠনটি করোনাকালেও খণ্ডকালীন অনুশীলনের মাধ্যমে চালিয়ে আসচ্ছে সংগীত চর্চা । দেশাত্ববোধক ও লোকজ গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে সংগীতশিল্পীদের অনুশীলন। হারমোনিয়াম আর তবলার তালে তালে দীর্ঘসময় চলে অনুশীলন। সমাজে অসংগতি দূরসহ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

    নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে কাজ করছে বলে জানান সংগঠনের কর্মকর্তারা।

    কর্নেট সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম প্রবাল চৌধুরী বলেন, এই সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। আমরা বিজয় ও সাংস্কৃতিক মেলায় জেলা ও উপজেলায় শিল্পী ও সাংস্কৃতি সংগঠনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশনের ব্যবস্থা করে থাকি।অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।

    কর্নেট সাংস্কৃতি সংসদের সভাপতি সৈয়দ নুর হোসেন বাবলু বলেন, জেলাতে আমরা একটি সাংস্কৃতিক মিউজিয়াম করার চেষ্টা করছি যেখানে সাংস্কৃতিক অতীত সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিতদের জীবনি সংগ্রহ করা হবে যা দেখে নতুন প্রজন্ম উজ্জীবিত হবে। সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে সব রকমের অন্যায়-অনাচার দূর হবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সংগঠনটির আরো কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে।

    এ জেলায় ছোট-বড় ৩০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content