প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২০ , ১২:০৪:৪৯ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ নাঈম তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার।।
বরেণ্য রাজনীতিবিদ আলতাব উদ্দিন স্যারের আগামীকাল বিবাহ সুবর্ণজয়ন্তী (৫০তম শুভ বিবাহ বার্ষিকী)।
২২ শে অক্টোবর ১৯৭০ সালের এই দিনে তিনি শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে জাহানারা শরিফা বানুর সাথে পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন তিনি। উনার বিবাহের বরযাত্রী ছিলেন তৎকালীন জাতীয় নেতা, স্বাধীন বাংলার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আযাদ সহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
ব্যক্তিগত জীবনঃ
পারিবারিক ভাবে শিক্ষক বাবার সন্তান হিসেবে আলতাব উদ্দিন মাস্টার তৎকালীন সময়ে অত্র এলাকার হাতেগোনাদের ১জন যিনি উচ্চ শিক্ষা লাভ করে জগদল আল-ফারুক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে শিক্ষকতা ও রাজনীতি চালিয়ে যান।
আলতাব উদ্দিন মাস্টার ও জাহানারা শরিফা বানু দম্পতির দুই ছেলে ২ মেয়ে সবাই উচ্চ শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত।
বড় ছেলে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব নিয়ে স্ব-পরিবারে সেখানে বসবাস করছেন।
বড় মেয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও ছোট মেয়ে
স্বামী সন্তান নিয়ে কানাডার নাগরিক হিসেবে বসবাস করছেন।
আর ছোট ছেলে বাবা-মা’র দেখাশুনার জন্যে দেশে থেকেই বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন।
ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে সফল আলতাব উদ্দিন স্যারের সহধর্মিণী শরিফা বানুও একজন রত্নগর্ভা আদর্শ গৃহিণী, কর্ম এবং রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আলতাব উদ্দিন স্যারের যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চার সন্তানের সবাই কে উচ্চ শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনঃ
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দিরাই পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী চন্ডিপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত প্রভাবশালী মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া আলতাব উদ্দিন মাস্টার দিরাই তথা সুনামগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ।
ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে উত্তাল রাজনৈতিক পটভূমিতে এমসি কলেজের ছাত্রাবস্থায় আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী রাজনীতিবিদ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও একাত্তর পরবর্তী দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সম্পাদকীয় পদে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলতাব উদ্দিন মাস্টার সর্ব মহলে স্যার নামেই ব্যাপক পরিচিত।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের প্রায় সকল কমিটিতে বিভিন্ন পদে আলতাব উদ্দিন মাস্টার সততা ও যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৮৮ সালে তৎকালীন করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নব্বইয়ের দশক থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পূর্ণাঙ্গ সভাপতি হিসাবে টানা দুইযুগ ভূমিকা রেখেছেন স্ব গৌরবে।
২০০৪ সালের ২১শে জুন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমাবেশে উনার সভাপতিত্বে সভা চলাকালীন সময়ে বর্বরোচিত গেনেড হামলা আলতাব উদ্দিন স্যার মারাত্মক আহত হন।
হামলা, ষড়যন্ত্র ও উস্কানীমূলক নানান মুখি বাধা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সততা, স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রায় বিলুপ্ত হওয়া ভদ্র, সুশীল ও পরমতসহিষ্ণু রাজনৈতিক ধারা’কে অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
বরেণ্য রাজনীতিবিদ আলতাব উদ্দিন মাস্টার বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য হিসাবে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও বিভিন্ন ভাবে জুলুম নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন পরম মমতায়।
সর্বশেষ দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ১ম সদস্য হিসেবে সভাপতি’র দৌড়ে রয়েছেন এগিয়ে।
আমরা এই সফল দম্পতির ৫০ তম বিবাহ বার্ষিকীতে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।