প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২০ , ১২:৪৩:১৯ অনলাইন সংস্করণ
মাহমুদ আহসান হাবিব ঠাকুরগাঁও: বন্যার প্রভাবে ঠাকুরগাঁওয়ের কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে কাঁচা সবজির দাম। যে কোনো ধরনের সবজি মানভেদে কিনতে খরচ হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঠাকুরগাঁও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড় মাঠ) এর অস্থায়ী কাঁচাবাজারে অন্যন্যা দিনের তুলনায় ক্রেতার উপস্থিতি আজকে অনেকটাই কম। বৃষ্টির কারনে বাজার গুলোতে ক্রেতা নাই বললেই চলে। বন্যায় কাঁচাসবজির আবাদ একেবারে বিনষ্ট হওয়ায় বাজারগুলোতে জেলার বাইরে থেকে আসছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। এসব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। বেশি দামের সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।
একদিকে যেমন বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড১৯) এর প্রভাবে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে আবার বন্যায় সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে মধ্যম আর নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। কাঁচা সবজি কেনা এখন দুরহ ব্যাপার। তাই ডাল আর আলু ভর্তাই একমাত্র ভরাসা প্রত্যন্ত এলাকার খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা,বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, শিম ১২০ টাকা ও মুলা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৩০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, কাঁচা কলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টাকা। আবার চালের দামও বেড়েছে প্রকার ভেদে কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ভোজ্য তেলও। বেড়েছে লিটার প্রতি ৫ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে অন্যান্য মসলার দাম রয়েছে স্বাভাবিক। বসায়ীরা বলেছেন,সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম কমতে পারে।
বাজার করতে আসা কামাল হোসেন নামের একজন ভ্যান চালক বলেন, সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার হয়েছে তা বাজার করতে শেষ হয়ে গেছে।, আজ কাঁচাবাজারের এতো দাম ? যে কাঁচাবাজার ধরায় যাচ্ছে না। শুধু কামাল হোসেন নয় আরও অনেক অল্প আয়ের মানুষ আছেন যারা বাজারে গিয়ে লাগামহীন দাম শুনে বাজারের থলি খালী নিয়ে বাড়ি ফিরে। মোহাম্মদ আলী নামের আরেক ক্রেতা বলেন, নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের মানুষের পক্ষে এখন সবজি কিনে খাওয়া স্বপ্নের ব্যাপার।
সবজি বিক্রেতা আব্দুল আজিজ জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে ভারীবর্ষণে অধিকাংশ কাঁচা সবজির আবাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জেলার বাইরে থেকে সবজি আনতে হচ্ছে। ফলে দাম একটু বেশি।