প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২০ , ১০:০৮:৩২ অনলাইন সংস্করণ
মাহমুদ আহসান হাবিব ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার লোভ দিয়ে এক বিধবা নারীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর পেটের সন্তান গর্ভপাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহস্প্রতিবার ( ২২ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ নারী শিশু জেলা জজ আদালতে ওই নারীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আবেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজ্ঞ নারী শিশু জেলা জজ আদালতের বিচারক মামলাটি স্থানীয় থানার ওসিকে নথিভুক্ত করে আসামী গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
মামলার আসামী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১নং পাড়িয়া
ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও পাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবি জানান, গত ৪ মাস আগে বিধবা ও ভিজিডির কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করে ইউপি সদস্য রফিকুল। পরে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ অক্টোবর ঠাকুরগাঁওয়ের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অ্যাবাসন করে শিশুটির গর্ভপাত ঘটায় তিনি।
মামলা বাদী জানান, গোপনে গর্ভপাতের পর পেটের ব্যথা ও রক্তপাত বন্ধ না হওয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারীকে ২০ অক্টোবর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। দুইদিন চিকিৎসা গ্রহণের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে আল্ট্রসনোগ্রাম করান চিকিৎসক। আল্ট্রসনোগ্রাম রিপোর্টে দেখা যায়, ওই নারীর পেটে অ্যাবাশন করা শিশুর অংশ বিশেষ রয়ে গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই
নারীকে ২১ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল ইসলাম জানান, ওই মহিলাকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ্য ও আশংকামুক্ত।
পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার্যান এ্যাড. জিল্লুর রহমান মুঠোফোনে জানান, মামলা
হয়েছে শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করবে। আইনী প্রক্রিয়ায় অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে,
আইনের বাইরে কিছু বলার সুযোগ নেই।
মামলার আসামী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান জানান, পুজামন্ডম পরিদর্শনে বাইরে আছি। মামলার নর্থি আমরা এখনও পায়নি।