প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২০ , ৪:৫৭:৪৩ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে ১৪ বছর বয়সী রেশমা(ছদ্মনাম) নামক এক কিশোরীকে অপহরণ এর অভিযোগে দিলোয়ার(২২) নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করার পাশা-পাশি এই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত বালিকান্দী গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ দুধুল মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল মিয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ বছর বয়সী মেয়ে রেশমা (ছদ্মনাম) কে গত ১০ ই অক্টোবর দিন দুপুরে বসত ঘর থেকে অপরহণ করে একই গ্রাম নিবাসী মোঃ দানা মিয়ার ছেলে দিলোয়ার মিয়া (২২) ও তার সহযোগী একই গ্রাম নিবাসী মোঃ আছকন আলীর ছেলে মোঃ নেছার মিয়া। এ বিষয়ে মেয়ের বাবা দুলাল মিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ এর সহযোগীতায় গতকাল ২০ শে অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা বাজার থেকে অপহরণকারী দিলোয়ার(২২) কে গ্রেপ্তার করার পাশা-পাশি অপহরণের শিকার কিশোরী ১৪ বছর বয়সী রেশমা (ছদ্মনাম) কে উদ্ধার করে জগন্নাথপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারী দিলোয়ার(২২) কে আজ ২১ শে অক্টোবর রোজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং অপহরণ এর শিকার কিশোরী ১৪ বছর বয়সী রেশমা(ছদ্মনাম) কে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, দানা মিয়ার ছেলে দিলোয়ার মিয়া ও আছকন আলীর ছেলে নেছার মিয়া মাদকাসক্ত ওরা দু’জন সারাক্ষণ মাদকে আসক্ত থাকে। দিলোয়ার মিয়া ও নেছার মিয়া দিন দুপুরে দুলাল মিয়ার বসত ঘরে প্রবেশ করে ১৪ বছর বয়সী রেশমা (ছদ্মনাম) কে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে গেছে এবং এই মেয়ের মাকেও মারপিট করেছে। দিলোয়ার মিয়া কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে ভাল কথা অপর অপহরণকারী নেছার মিয়াকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানারএসআই মির্জা সাখাওয়াত বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ শহরে যাওয়ার সময় অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে ২১ শে অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং মেয়েকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।