প্রতিনিধি ২৯ অক্টোবর ২০২০ , ৫:১৩:০৫ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ আব্দুল আলী দেওয়ান (আব্দুল্লাহ)- চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ মতলব পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর বাইশপুর ফকির বাড়ীতে সামছুন নাহার (৬৫) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল ২৮ অক্টোবর দুপুরে এই লৌমহর্ষক হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে এবং সন্ধায় বাড়ীর লোকজন তা বুজতে পেরে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঐ বাড়ীর মৃত রহিম মুন্সির চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে নিহত (হত্যার স্বীকার) শামসুন্নাহার (৬৫) তার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন বহু পূর্ব হতে। ঘটনার (২৮/১০/২০) দিন নিহতের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এদিকে এই দিনই নিহতের ছোট ভাই মরহুম বোরহান উদ্দিন মুন্সির ছেলে পারভেজ (২৬) তার ফুফুর সাথে দেখা করার জন্য সকালে বাড়ীতে আসে। ওই বাড়ির একাধিক ব্যক্তি জানান, ঘটনার দিন সকালে পারভেজ তার ফুফু শামসুন্নাহারের সাথে ঝগড়া করে বাড়ী থেকে চলে যায় এবং তারপর থেকে সারাদিনও শামসুন্নাহার কে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে হাঁস-মুরগি ঘরে নেওয়ার জন্য বাড়ীর জনৈক মহিলা সামছুন নাহারকে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ পায়নি। পরে বাড়ীর কয়েকজন দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। আর এ বিষয়টি মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে অবহিত করলে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ ঘটনাস্থলে পৌছেন। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় যে, নিহত শামসুন্নাহারের দুই ভাইয়ের মধ্যে বোরহানউদ্দিন মুন্সির পরিবার মতলব সদরের নবকলস এলাকায় বসবাস করে। আরেক ভাই কবির হোসেন চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় বসবাস করেন। নিহতের তিন মেয়েরা সকলেই শ্বশুর বাড়ীতে থাকে। হত্যা শেষে খুনি পারভেজ তার মায়ের কাছে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে এবং কবির নামক ব্যাক্তিকেও কল করে যানান তার খুনের কথা। অতঃপর এ-ই সুত্র ধরে খুনি পারভেজকে অতি দ্রুত মোবাইল ট্যাকিং এ-র মাধ্যমে ঢাকিরগাঁও কাজলি সিনেমা হলের সম্মুখ থেকে দ্রুত। থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, হত্যাকান্ডের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। সিআইডি ও পিবিআই এর টিম ঘটনাস্থলে আসছে। আমরা প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। এদিকে সিনিয়র এএসপি সার্কেল মোঃ আহসান হাবীব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।