• মৌলভীবাজার

    কুলাউড়ার আমতলা বাজারে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা-

      প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২০ , ৮:৪৭:১৮ অনলাইন সংস্করণ

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:: কুলাউড়া উপজেলায় আমতলা বাজারের সৈয়দ তারেক উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ীর পরিবার। প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে দিনের বেলা এভাবে অস্র দিয়ে কোপানোর খবরে পুরো স্থানীয় এলাকার মানুষ অাতংকের মধ্যে রয়েছেন।

    থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাউৎগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নর্তন গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী সোহাগের ছেলে রায়হান মিয়া (৩০) সাহান মিয়া (২৫)

    ফারহান মিয়া (২০) নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা লোহার রড, জুলপি, চাকু, ও লাঠি নিয়ে  সন্ত্রাসী কায়দায় আমতলা বাজারের তারেক ভেরাইটিজ স্টোরের স্বাধিকারীর দোকানে ভিতর জোরপূর্বক প্রবেশ করে তারেক উদ্দিনকে কোপাতে থাকে । এসময় সন্ত্রাসী রায়হান তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে তারেকের মাথায় আঘাত করে  গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীদের  এলোপাতাড়ি কুপে তারেকের বাম হাতের কবজি কেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়। হামলার সময় দোকানঘর ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি ও ক্যাশে থাকা নগদ ১লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা

    জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় তারেকের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।পরে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তারেককে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তবরত চিকিৎসক তার অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ হামলার ঘটনায় পালগ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে শিপু মিয়া (২২) ইফু মিয়া, রাসেল মিয়া (২৮) , শিমুল মিয়াসহ আরও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

    স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আকবর আলী সোহাগের ইন্দনে এলাকায় হামলা,অসহায় মানুষকে অহেতুক হয়রানি মামলা ও জেল কাটানোর হুমকি,কিশোরগ্যাং অপরাধসহ  নানা কর্মকান্ডের  অভিযোগ রয়েছে। এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আহত সৈয়দ তারেক উদ্দিনের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এই হামলার ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে  জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে  বিচার দাবী করেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামীলীগ নেতা আকবর সোহাগের প্রতিটি ছেলেই বাবার প্রভাব খাটিয়ে মাদক, ছিনতাই, চুরি সহ নানাবিদ অপরাধের সাথে জড়িত। এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জেল হাজতবাস ও করতে হয়েছে।

    এবিষয়ে আকবর আলী সোহাগের কাছে জানতে চাইলে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে  পাওয়া যায়নি।

    কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান  হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলায় জড়িত অাসামী ধরতে পুলিশ তৎপরতা রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ দায়িত্বপালন করছে।

    আরও খবর

    Sponsered content