প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১:৪৫:১৮ অনলাইন সংস্করণ
শাল্লা প্রতিনিধি:: সরকারের নিয়মনীতি না মেনে শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেনীর ভর্তিতে ইচ্ছেমত টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে স্থানীয়দের মন্তব্য। শুধু তাই নয়, শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ বিকাশ ও শিওর ক্যাশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এসব অন্তরালের দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু ভর্তিপ্রক্রিয়ার সব কটি ধাপ শেষ হওয়ার পর ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তি হবে। একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি ফির সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটি এ ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। ভর্তি নীতিমালা না মেনে শিক্ষার্থী ভর্তি করালে সেই কলেজের পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। আর সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরুর আগেই বেসরকারি কলেজের ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন ও যাবতীয় খরচের বিষয়ে অবহিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এসব নির্দেশনা না মেনে শাল্লা ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছেমত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের আরএন ফার্মেসী ও বকুল স্টুডিওতে দেখা যায়, একটি বিজ্ঞপ্তি টানানো আছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, শাল্লা কলেজে একাদশ শ্রেনীর ভর্তি বাবদ মানবিক ও বানিজ্য শাখায় ৪হাজার ৫শ ৫০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখায় ৪ হাজার ৭শ ৫০ টাকা। উক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষ চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিকাশের মাধ্যমে কলেজ কোডে এসব টাকা পাঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর মনোহর রায় ও পঙ্কজ কান্তি দাস বলেন, আমরা শাল্লা কলেজ কোড EIIN 130010 টাকা পাঠাই। এই টাকা বিকাশের শিওর ক্যাশে চলে যায়। আর বিকাশ এজেন্টদের সাথে কলেজের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। টাকা পাঠাইলে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ম্যাসেজ আসে। ম্যাসেজ নিয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজে গেলে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ভর্তি করে। কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব টাকা নিচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে শাল্লা কলেজে সবচেয়ে বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে। আমার মেয়েকে ভর্তি করতে ৪হাজার ৭শ ৫০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এবং এই টাকা না দিলে কলেজে ভর্তি করানো যাবে না বলে কলেজ কর্তমপক্ষ জানিয়েছে। তাই বিপদে পড়ে মেয়েকে ভর্তি করেছি। এই বিষয়ে শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি। কারন তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি আল মোক্তাদির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।