• লিড

    শাল্লায় চুরির অভিযোগে ইউপি সদস্য আ: নূর ও সহযোগী চোর চক্রের সদস্যরা পলাতক!

      প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১:১৩:৫৬ অনলাইন সংস্করণ

    ছবিঃ চুরির দায়ে অভিযুক্ত পলাতক আং নুর ও সহযোগী আমিনুর। 

    নিজস্ব প্রতিবেদক।।  সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার পল্লী অঞ্চলের সাংবাদিক দিলোয়ার হোসেনের ভাই আব্দুল কাইয়ুমের ঘর থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় এলাকার চিহ্নিত চোর বুলবুল মিয়া। আর এই চুরির নেতৃত্ব দিয়েছেন শাল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুন নুর। আর এর সহযোগীতা করেছে দামপুর গ্রামের চিহ্নিত জোয়ারী আমিনুর মিয়া। চুরি করা সাড়ে চার লাখ টাকা আব্দুন নুর ও আমিনুর মিয়া ভাগবাটোয়ার করে নিয়েছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাব বন্দি দিয়েছে ধরা পরা আসামী বুলবুল মিয়া। জানা যায়, গত

    আগষ্ট মাসের ২৫ তারিখ দিবাগত রাতে শাল্লা উপজেলার চব্বিশা গ্রামের মৃত আলী আহমদের ছেলে গরু ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ি থেকে ৪ লক্ষ ৫০হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

    এতে আব্দুল কায়ূম বাদী হয়ে শাল্লা থানায় একটি অজ্ঞাত নামা জিডি করেন।

    পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহমুলক ভাবে এলাকার চিহ্নিত চোর বুলবুল মিয়াকে আটক করে থানায় জিজ্ঞেসা বাদ করলে শাল্লা থানার পরিদর্শক নাজমুল হকের নিকট সঙ্গীদের নাম প্রকাশ করে স্বীকার উক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

    এবং তার মা চুরি করে নেওয়া টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা এস আই সেলিমের নিকট জমা দেন, বাকি টাকা তার সঙ্গী আব্দুন নুর (মেম্বার) ও আমিনুর মিয়ার নিকট আছে বলে স্বীকার করেন।

    এরপর ৩১আগষ্ট তাকে কোর্টে চালান করে শাল্লা থানার পুলিশ।

    বিঞ্জ আদালতে সোপর্দ করিলে সেখানে কার্য বিধি ১৬৪ দ্বারায় স্বীকার উক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করিলে তাহার সহযোগী একই গ্রামের আব্দুল নুর (মেম্বার) ও আমিনুর মিয়ার নাম বলেন। বুলবুল বর্তমানে কারাগারে আছে এবং

    ৪নং শাল্লা ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য দামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুন নুর ও একই গ্রামের বাসিন্দা আমিনুর পলাতক রয়েছে। ইউপি সদস্য আব্দুর নূরের শুধু টাকা চোরি নয় বড় ধরণের অপকর্ম করে হজম করতে পারেন। তার নেতৃত্বে এলাকায় একটি চোরের বাহিনী সক্রিয় ওরা সময় সুযোগ বুঝে বিভিন্ন পল্লী অঞ্চলে চুরির কাজ করে। ইউপি সদস্য আব্দুর নুর এলাকার একজন প্রভাবশালী লোক বটে পান থেকে চুন খসলেই তিনি যে কোন সময় মানুষের উপর নির্যাতন করেন, চুরি, ডাকাতি, ভূমি দখল ও সরকারের যে কোন সহায়তা গরীব মানুষের জন্য আসলে তা তিনি আত্মসাৎ করতে দ্বিধা বোধ করেনি৷ ইউপি সদস্য আব্দুর নুর নির্বাচিত হওয়ার আগে নুন আনতে পান্তা ফোরাতো। এখন তিনি সদস্য নির্বাচিত হয়ে আলাদীনের চেরাগ হয়ে গেছেন। এই সল্প সময়ে তিনি অনেক অর্থের মালিক ও হয়েগেছেন।

    এব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুর নূরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি টাকা চুরি করবো কেন? আমি একজন মেম্বার, আমি চোরদের বিচার করি।

    এ বিষয়ে শাল্লা থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান, একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে অন্যান্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।

    আরও খবর

    Sponsered content