প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৯:৩০:৫৩ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। ফের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হলেন দিরাই পৌরসভার মেয়র ও দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুুুগ্ম গসাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়া, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, দিরাই উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বর্তমান দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার সহ মেয়র পুত্রদ্বয় দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল মিয়া ও তাজবিদ মিয়া প্রমুখ।
কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া জলমহাল নিয়ে সংগঠিত মর্মান্তিক ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩ জন নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা থেকে আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপরোক্ত আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে গৃহীত চার্জশিট রদ ও রহিত করে ফের অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন দায়রা জজ এর বিজ্ঞ বিচারক জনাব ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার।
তাই উক্ত মামলায় অভিযুক্তদের ওয়ারেন্ট আবার বহাল হলো বলে বিষয়টি দৈনিক ভাটি বাংলা ডটকম কে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদি একরার হোসেন ও আইনজীবী এডভোকেট প্রদীপ নাগ হারু, ও এডভোকেট মাসুক আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্যঃ ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া ঘোড়ামারা সাতপাকিয়া জলমহালের মালিকানা নিয়ে বিরোধে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একরার হোসেন এর সাথে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া এবং দিরাই উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বর্তমান দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার এর গ্রুপের সংগঠিত মর্মান্তিক ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একরার হোসেন এর পক্ষের উজ্জ্বল, তাজুল ও শাহারুল নামে নিরহ ৩ গ্রামবাসী নিহত হলে একরার হোসেন বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৫/২০১৭ (দিরাই)। আদালত উপরোল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে (ওয়ারেন্ট ইস্যু) গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।
বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুসারী শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ট্রিপল মার্ডারের আসামি হয়েও প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় তৎকালীন সময়ে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে পটপরিবর্তন ও মার্চের উপ-নির্বাচন কে সামনে রেখে হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ এর শর্তে ৬ সপ্তাহের অস্থায়ী জামিন নিয়ে আসার পর আসামিগণ রাজনৈতিক প্রভাবে হাইকোর্ট এর আদেশ অমান্য করে নিম্ন আদালতে আর আত্মসমর্পণ করেননি।
তারপর পুলিশ রিপোর্ট, সিআইডি রিপোর্ট ও পরবর্তীতে পিবিআই রিপোর্টেও উপরোল্লিখিত আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দাখিল করেন।
বাদির আপত্তি সত্ত্বেও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাদের অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট আমলে নিলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে মামলার বাদি একরার হোসেন ফের নারাজি দিয়ে দায়রা জজে রিভিশন আবেদন করেন,(মামলা নং-২৪)।
বাদির আবেদন আমলে নিয়ে আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ১২-০২-২০১৯ ইং তারিখের আদেশ রদ ও রহিত করে বিগত ১০-০৮-২০২০ ইং তারিখে দায়রা জজ এর বিজ্ঞ বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার মামলাটি অধিকতর তদন্ত করতে র্যাব’কে দায়িত্ব দিতে আদেশ প্রদান করেন।
প্রসঙ্গতঃ আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার অপরাপর উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা কুলঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া, মাসুক মেম্বার, আরিফুজ্জামান চৌধুরী এহিয়া, টংগর গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত কাউসার ও এনামুল হক লিলু প্রমুখ সহ আরও অনেক ।