প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৪:৪৭:২৬ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ নাঈম তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার।। বার্ষিক সুদ ২৪০ থেকে ৩০০ শতাংশ! হ্যাঁ, এই হারেই সুদ আদায় করছেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন পল্লী অঞ্চলের অবৈধ সুদের কারবারিরা। ঋণগ্রহীতা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে শুরু হয় নানা অত্যাচার। এই চিত্র দেখা যাচ্ছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার অনাচে-কানাচে। ‘সুদখোর’দের উৎপাতে দিরাই ও শাল্লার বিভিন্ন পল্লী অঞ্চল ও হাট বাজারের ব্যসায়ী নিরুদ্দেশ হচ্ছেন। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সুদের ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
দিরাইয়ের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন- দিরাই বাজার, রাজানগর বাজার, শ্যামারচর বাজার, দিরাই বালুর মাঠসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শতাধিক মানুষ সুদের ব্যবসায় জড়িত। তাঁরা এক লাখ টাকার বিপরীতে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সুদ আদায় করেন। জামানত হিসেবে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ফাঁকা চেক নেন।
দিরাই বাসষ্টেশনের এক ব্যবসায়ী বলেন, দুই বছর আগে তিনি এক সুদের কারবারির কাছ থেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকার বিপরীতে ২০ হাজার টাকা সুদ দেওয়ার চুক্তিতে ৮৩ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা শোধ করেছেন। কিন্তু সুদুড়ী আরও ১০ লাখ টাকা চাচ্ছেন।ব্যবসায়ী আরও বলেন, জামানত হিসেবে তিনি দুটি ফাঁকা চেক দিয়েছিলেন। এখন শুনতে পাচ্ছেন, ওই চেক দুটিতে মোটা অঙ্ক বসানো হয়েছে।
এই সুদের কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য সুনামগঞ্জের প্রশাসনের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
Notifications