প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২০ , ৪:৫৮:২০ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরের পল্লীতে ১৮ মাস বয়সী শিশু কন্যা সাদিয়াকে পানিতে ফেলে হত্যা করার অভিযোগে চাচী সুবিনা(২৫) কে আটক করে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত তেলিকোনা (নতুনপাড়া) গ্রাম নিবাসী রুমেন মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম এর সঙ্গে দেবর পাবেল মিয়ার স্ত্রী সুবিনা আক্তারের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গত দুই /তিন দিন পূর্বে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেও বড় জায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে ছোট জা সুবিনা আক্তার(২৫) বড় জায়ের ১৮ মাসের শিশু কন্যা সাদিয়া বেগমকে বিগত ২১ শে আগষ্ট ভোরে বাড়ির নিকটবর্তী একটি ডোবার পানিতে ফেলে দেন। এ সময় প্রতিবেশী এক নারী বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানান। পরে ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখবর পেয়ে কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম ও স্থানীয় মেম্বার আছাদুল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ বিকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরে নিহত শিশু কন্যা সাদিয়ার পিতা রুমেন মিয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়ে এই দিন সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত চাচী সুবিনা আক্তারকে (২৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত শিশুর বাবা রুমেন মিয়া বলেন, দুই/তিন দিন পূর্বে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার ছোট ভাইয়ের বৌয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এই সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার স্ত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতে আমাদের শিশুকন্যাকে পানিতে ফেলে হত্যা করা করেছে। এ ঘটনায় আমি লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
তিনি আরোও বলেন, ঘটনার দিন (শুক্রবার) ফজরের আজানের পর আমি কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হই। এ সময় আমার স্ত্রী শিশুকন্যাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালের দিকে আমি খবর পাই আমার শিশুকন্যাকে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আছাদুল হক বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে জানতে পারি শিশুটিকে তার চাচি সুবিনা আক্তার ভোর বেলা পরিবারের লোকজনের অগোচরে পানিতে ফেলে দিয়েছেন। প্রতিবেশী এক নারী এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। পরে লোকজন ডোবার পানি থেকে রুমেন মিয়ার ১৮ মাস বয়সী শিশু কন্যা সাদিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশকে অভিহিত করলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশু কন্যা সাদিয়ার চাচী সুবিনা আক্তারকে আটক করেন।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহত শিশু কন্যা সাদিয়ার পিতা রুমেন মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সুবিনা আক্তার নামক নারীকে আটক করে আজ ২২ শে আগষ্ট রোজ শনিবার সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করেছি । এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।