• লিড

    জগন্নাথপুরের কলকলিয়া বাজারে অতর্কিত হামলায় ১ জন আহত

      প্রতিনিধি ২ আগস্ট ২০২০ , ২:০৯:৪০ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরের কলকলিয়া বাজারে অতর্কিত হামলায় অধীর (৫০) নামক এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    ঘটনার বিবরনে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া গ্রাম নিবাসী দিগেন্দ্র দাশ এর ছেলে দিলীপ দাস ও একই গ্রাম নিবাসী মৃত সুধীর দাস এর মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা পঞ্চমী রানী দাস এর মধ্যে বসত বাড়ীর জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আজ ২ রা আগষ্ট সকাল ১০ ঘটিকার দিকে বিরোধকৃত জায়গায় বেড়ে ওটা গাছ থেকে পেয়ারা (শফরি) পাড়েন উভয় পক্ষের মেহমান সিলেট থেকে আসা সবুজ। এনিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলেও স্থানীয়দের মাধ্যমে সাময়িক মীমাংসা হয়। বিকাল পাঁচ ঘটিকার দিকে শিক্ষিকা পঞ্চমী রানী দাস এর স্বামী অধীর দাস স্থানীয় কলকলিয়া বাজার থেকে সদাই করে বাড়ী ফেরার পথে উপজেলার ঘিপুড়া গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ আছদ্দর আলীর ছেলে আরজ উল্লাহ ও দিলীপ পিছন দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে বাজার এর গলিতে অধীরের উপর আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। স্থানীরা আরজ উল্লাহ ও দিলীপ এর আক্রমণ থেকে আহত অধীরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাজারস্থ মিজান ফার্মেসীতে নিয়ে আসা হলে ডাঃ মিজানূর রহমান তাকে চিকিৎসা প্রদান করেন। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
    আহতের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাঃ মিজানূর রহমান বলেন, আহত অধীর দাস এর ডান হাতের আঘাতে সেলাই দিয়েছি। হাতের অবস্থা বেশী ভালনা। ঔষধপত্র দিয়েছি।
    এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যাক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, দিলীপকে সাথে নিয়ে আরজ উল্লাহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে অধীরকে আহত করেছে। আরজ উল্লাহ একজন বাজে লোক। নারী কেলেংকারী ও সুদে টাকা লাগানো আরজ উল্লাহর পেশা ও নেশা। সুদের পাওনা টাকা নিয়ে হরহামেশা বিভিন্ন মানুষের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকে। তাকে আইনী ভাবে শায়েস্তা করা প্রয়োজন।
    এ ব্যাপারে কলকলিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ হারুন মিয়া ও সাধারন সম্পাদক বলেন, আরজ উল্লাহ একজন দুষ্কৃতকারী লোক তাকে আইনী ভাবে শায়েস্তা করা প্রয়োজন। দিলীপ আর পঞ্চমীর পারিবারিক বিষয়ে দিলীপ এর পক্ষ নিয়ে অধীর উপর হামলা করার কারন খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই বিষয়ে থানায় কোন মামলা হয়নি।

    আরও খবর

    Sponsered content