প্রতিনিধি ২০ জুলাই ২০২০ , ১০:৩৬:১৮ অনলাইন সংস্করণ
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ জনজীবনের জীবনধারায় হানা দিয়ে গোটা জাতিকে যেমন থমকে দিয়েছে তেমনি দেশের শ্রমবাজারকে ও থমকে দিয়েছে পুরোপুরিভাবে। করোনাকালীন সময়ে মানবজীবনে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর। আবার নতুন করে চাকরি হারাতে হলো কতজনার।তার হিসাবটা সকলেরই কম বেশী জানা আছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই করোনার কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিশাল ক্ষতির মুখে আজ।
, কাজ হারিয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীরাও যোগ হচ্ছে এই তালিকায়। বেকারত্ব নামটির সাথে আমাদের বহু আগ থেকেই পরিচয় ছিলো কিন্তু এখন করোনাকালে যেন এই বেকারযুব সমাজের সাথে চাকরিচূত্য / চাকরি হতে ছাঁটাইকৃতরাও যোগ হলো। ভয়াবহতা আজ আদের সামনে বেকারত্বের এত দীর্ঘ সারি!
কি হতে চলছে আগামীতে?
রাতারাতি ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ নেই জানিয়ে, পরিকল্পিত উপায়ে কর্মসংস্থান বাড়নোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
কিন্তু এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষদের নজর কতটুকু তা এখনো পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে যদি সুনজর না দেওয়া হয় তবে অসিত্বহীন হয়ে পড়বে সাধারন মানুষরা। বেড়ে যাবে অপারাধ প্রবনতার হার।
মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। অনেকেই লকডাউন শিথিল করেছে। অন্য দেশের মতো আমাদের দেশে ও কিন্তু পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবকিছু বন্ধ করে দিলেও মানুষের জীবিকার কথা ভেবে শিথিলতার পথ বেছে নিতে হয়েছে। তবে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান চালিয়ে নিতে পারছে না তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম এর গতিবিধি। ফলে চাহিদা কমে যাওয়ায় সেবামুখী ও উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এতে বাধ্য হয়ে কর্মী ছাঁটাই করতে হচ্ছে আর এর কারনে বেকারত্বের হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থবির হয়ে পড়া অর্থনিতির চাকা সচল কবে হবে তা জানা নেই কারোর।
চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়া মানুষ, তাদের পরিবার গুলো আজ অনিশ্চিত জীবনের দিকে হাঁটছে কতটা অসহায়ত্ব ঘিরেছে তাদের তা অনুমান করাটা কঠিন নয়।
করোনার থাবায় দিন দিন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে বেকারত্বের সংখ্যা এবং সাথে সাথে ছাঁটাইকৃতের ও। কর্মসংস্থান না করা গেলে এই বিশাল অংকের জনগোষ্ঠীর কি হবে কেউ কি আন্দাজ করতে পারছি?
আর্থিকক্ষুদা যে কতটা ভয়ানক,
করোনা আমাদের যেন আরো ভালো করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের ফলে দেশের প্রায় সকল কর্মসংস্থানের সুযোগ থমকে দাঁড়িয়েছে।
বেকারত্বের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা।
শহর ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে অনেক পরিবার ইতোমধ্যে। এই মানুষ গুলো কতশত আশা নিয়ে শহরে এসে রোজগারোর পথ খুঁজে পেয়ে বেশ ভালোই কাটাচ্ছিলো দিনকাল।
আজ তাদের সেই স্বপ্নের ক্যানভাস এর মৃত্যু নিজের চোখে দেখতে হলো করোনা কত জীবন কেড়ে নিলো সাথে নিলো নাম না জানা কতশত পরিবারের আশা,স্বপ্ন!
আমরা মানুষ স্বপ্ন ভাঙ্গার পর ও আশায় বাঁধি বুক হয়ত পৃথিবী আবারো ফিরে পাবে প্রান, জীবনধারা সচল হবে, নতুন দিন নতুন সূর্য উঁকি দিয়ে এনে দিবে আবারো সুদিন।
লেখক,সম্পাদক ও প্রকাশক শিমুলবার্তা