প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২০ , ৩:৪২:৪৯ অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও থেকে মাহমুদ আহসান হাবিব: করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশে চলতি বছরের গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পড়া-লেখায় মন বসে না শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ঠাকুরগাঁওয়ের অনেক শিক্ষার্থী এখন টাকার অভাবে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে দিনমজুরি কাজ করছে।
জানাযায়, গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাধারণ ছুটিতে রয়েছে। দফায় দফায় সে ছুটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু এর পরও স্কুল খুলবে কিনা, সেই নিশ্চয়তাও নেই। তবে বন্ধের এই সময় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সংসদ টিভির মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে সরকার। একই সাথে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজও আলাদা আলাদা ভাবে অনলাইনে ক্লাস চালু করেছে।
তবে এসবের কোনো কিছুই প্রভাব ফেলছে না ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের। বরং অবসরে এ সময়টাতে শিক্ষার্থীরা অভাবের তাড়নায় টাকা রোজগারে দিনমুজুরির কাজ করছে। আম-লিচু বাগানে যারা শ্রমিকের কাজ করছে তাদের বেশির ভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী আরিফ জানায়, স্কুল বন্ধ তাই বাগনে কাজ করছি। প্রতিদিন কাজ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পাই। আর এই টাকা বাবা-মাকে দিই। একই স্কুলের ছাত্র ফাহিম জানায়, তাদের মতো অনেকে বাগানে কাজ করছে।
নূরুল নামে এক অভিভাবক বলেন, সবার পক্ষে স্মার্টফোন কিনে অনলাইনে ছেলে-মেয়েদের পড়ানো সম্ভব নয়। এ পদ্ধতির ফলে শিক্ষার্থীরা বৈষ্যম ছাড়াও মনস্তাত্ত্বিক চাপের শিকার হবে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, বেশিরভাগ পরিবারে কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও মনিটরিং নেই। অথচ শিক্ষার্থীদের বাইরে এরা শিশু সংবিধান কিংবা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। অথচ জেলার ৫ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী শ্রমিকের কাজে নেমেছে।
এব্যাপারে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদ টিভি ছাড়াও কিশোর বাতায়ন নামে একটি ওয়েব সাইট চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।