• সুনামগঞ্জ

    জগন্নাথপুরে ফের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে , আবারও ভোগান্তি

      প্রতিনিধি ২১ জুলাই ২০২০ , ১১:২৭:১৯ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ প্রবল বর্ষন আর পাহাড়ি ঢলে আবারো জগন্নাথপুর এর বিভিন্ন নদ-নদী ও হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়র-ঘর আর রাস্তা -ঘাট পানির নীচে তলিয়ে পড়ছে। যার ফলে তৃতীয় বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে।

    সম্প্রতি বন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাট-বাজার ও গ্রামাঞ্চলের বাড়ী-ঘর ও রাস্তা -ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেলেও বৃষ্টি-পাত না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছিল। আজ ২১ শে জুলাই রোজ মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিগত ১৯ শে জুলাই রোজ রবিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আবারো থেমে থেমে ভারী বর্ষন আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার কুশিয়ারা, ডাউকা,নলজুর সহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ী-ঘর ও রাস্তা -ঘাট পানির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে। আজো ভোর থেকে অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টি-পাত হচ্ছে। আবারো বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র হতে বাড়ী ফেরা মানুষ ফের আশ্রয়ের সন্ধ্যান খু্ঁজছেন।
    কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর মেম্বার মোঃ তারা মিয়া বলেন , গত তিন-চার দিনে লোকজনের বসতঘর থেকে বন্যার পানি কমলেও আমাদের ইউনিয়নে এখনো ৮৫ ভাগ মানুষ পানিবন্দি। এরই মধ্যে ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে আজো পানি বেড়েছে। ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
    নলুয়া হাওরপাড়ের দাসনাোয়া গাও গ্রাম নিবাসী ওলিউর জানান, টানা বৃষ্টিপাতে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ভোর রাত থেকে পানি বেড়েছে। এরমধ্যে দুই দফা বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়া লোকজন বসত বাড়ীতে ফিরলেও ফের বন্যার শঙ্কায় আবার আশ্রয়ের সন্ধান খুঁজছেন।
    চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন এর মেম্বার বাবুল মিয়া বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার আগেই আবারও বন্যার শঙ্কায় শঙ্কিত হাওরাঞ্চলের মানুষ। তিনি বলেন , এখনো গ্রামীন রাস্তা-ঘাট, বসত বাড়ী ঘরের চারপাশে পানি রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে পানি বাড়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন লোকজন।
    জগন্নাথপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াসির আরাফাত বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
    উল্লেখ্য, বিগত ২৪শে জুন জগন্নাথপুরে প্রথম দফায় বন্যা হয়। গত ১১ জুলাই ফের ২য় দফা বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া, চিলাউড়া- হলদিপুর, রানীগঞ্জ, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া, আশারকান্দি ও জগন্নাথপুর পৌরসভার একাংশের প্রায় ৭০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বন্যায় তলিয়ে যায় অসংখ্য রাস্তাঘাট। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অসংখ্যা কাঁচা ঘর-বাড়ী। বন্যার জলে ভেসে গেছে অনেক মৎস্য খামারের মাছ।

    আরও খবর

    Sponsered content