প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২০ , ৬:০৫:০৭ অনলাইন সংস্করণ
ইকবাল হোসেন রিজন,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি::
লক ডাউনে যানবাহন, অফিস আদালত, দোকান পাটসহ সব ধরনের কল-কারখানা বন্ধ । হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী কর্মহীন বেকার। হাতে নেই কাজ, ঘরে নেই খাবার। থমকে আছে গোটা জনজীবন । এমনি পরিস্থিতিতে জনগণের সুখ দুখের আংশীদার হওয়ার কথা যাদের তারা নেই এলাকায়। কেউ শহরের বাইরে আবার কেউ দেশের বাইরে।এমনি পরিস্থিতিতে পুরো উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ যখন চরম অসহায়। ঠিক এমনি পরিস্থিতিতে জনগণের জন্য আশীর্বাদ হয়ে পুরো পরিবার নিয়ে মাঠে নামলেন একজন। তিনি আর কেউ নয়। কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমেদ সলমান। গত ৪ মাস দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন হত দরিদ্র মানুষের জন্য। করোনা রোগীর বাড়ি লক ডাউনের পর খাবার সরবরাহ, দরিদ্র পরিবারে ত্রাণ বিতরণ। জনগণকে সচেতন করা, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন যেখানে সমস্যা সেখানেই সলমান।তাই জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্ষুব্ধ মানুষও তাকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরুতেই করেছে। কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠিত এক রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শফি আহমদ সলমানেরও রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। বড় ভাই মোসাদ্দিক আহমেদ নোমান ছিলেন কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। অপর ভাই সিদ্দিক আহমদ লোকমান জাতীয় পার্টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অনেক বছর ধরে।ছোটভাই জাফর আহমদ গিলমান মৌলভীবাজার জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মৌলভীবাজার চেম্বার্স অব কমার্সের পরিচালক এবং ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে।
সফি আহমেদ সলমান ছাত্রজীবনে ছিলেন কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস। পরে কুলাউড়া বনিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় বিপুল ভোটে কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সলমান ।তিনি আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। এখন সিনিয়র সহ সভাপতি। ২০০১-০৬ আওয়ামী লীগে র যেকোনো মিছিলের অগ্রভাগে থাকতেন সলমান। কিন্তু দল ক্ষমতায় যাওয়ার পর একটি অংশের ষড়যন্ত্রের শিকার হন।
টানা ৩ বার কাদিপুর ইউনিয়নের অপরাজিত চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় পদত্যাগ করে পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেন। কিন্তু দলের এক অংশের বিরোধিতায়র কারণে সামন্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যায় নৌকা । পরবর্তীতে সলমান ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৯৫শতাংশ কেন্দ্রে বিজয়ী হন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংঠনিক সম্পাদক মনসুর আহমদ চৌধুরী, জেলা যুবলীগ নেতা এবং ৩ নং ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম,কুলাউড়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ এর সদস্য সচিব আবুল মনসুর রাজন,কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম তায়েফ,কুলাউড়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক, এবং হাজিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন মানুষ নিজেদের বিপদ আপদ মুখ দুখের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করে।কিন্তু দুখ জনক হলেও সত্য বিগত জাতীয় নির্বাচনে সু সময়ের বন্ধুদের সুন্দর মনভুলানো কথামালার ফুলঝুরি তে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে এখন বিপদগ্রস্ত। দেশের এই দুর্দিনে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কুলাউড়া শহরের বাইরে আবার কেউ আরো দূরে প্রবাসে।অথচ এই উপজেলার ৩ লাখ মানুষ আজ চরম অসহায়। অবশ্য মানুষের এই বিপদে আমরা একজন কে পাশে পেয়েছি। পুরো পরিবার নিয়ে মাঠে আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমেদ সলমান।আমি মনে করি বঞ্চিত কুলাউড়া বাসীর দাবি আদায়ে সকল স্তরে উনার মতো জনবান্ধব নেতৃত্ব প্রয়োজন।উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত জনাব সফি আহমেদ সলমানকে যদি আমরা জাতীয় সংসদে পাঠাতে পারি কুলাউড়া উপজেলার মানুষ প্রকৃত সুফল ভোগ করবে। উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমেদ সলমান বলেন রাজনীতি আমার পেশা বা ব্যবসা নয়। এটা আমার নেশা ৩৫ বছর যাবত কুলাউড়া উপজেলার মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।আমি নিজেকে এই কুলাউড়া উপজেলার মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি অনেক আগে।আর এই দায়িত্ববোধ থেকেই করে যাচ্ছি।জনগণ তাদের প্রয়োজনে যখন যে চেয়ারে দিবে আমি সে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রয়েছি।