প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২০ , ৬:০২:১১ অনলাইন সংস্করণ
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাটে আলোচিত ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির ব্রাক্ষণগ্রামের গণধর্ষণের ঘটনায় মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম,র ভিকটিমের পরিবারকে সহায়তা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবসীর সাথে মতবিনিময় করে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন । কানাইঘাট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ভিকটিমের পরিবারকে ১মাসের খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয় ।
এ সময় ভিকটিমের স্বামী ও এলাকাবাসী পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশের প্রতি অগাধ বিশ্বাস আছে। গণধর্ষণের হোতা আজাদ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছিল । তার অপরাধে কেউ বাঁধা দিলে নানারকম নির্যাতনের শিকার করতো মানুষকে । তার ভয়ে কেউ কোনদিন মুখ খুলতোনা । গণধর্ষণের ঘটনায় কঠোর বিচারের দাবিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি আমরা ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম, (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ, ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, জেলা ডিবি পুলিশের
আব্দুল করিম, থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম, ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ, বাণীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ ও জেলা ডিবি অফিসের সাইফুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ । পরে পুলিশ সুপার বাণীপরে পুলিশ সুপার বাণীগ্রাম ইউপি পরিদর্শন করে জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করেন ।
উল্লেখ্য, ১জুলাই গভীর রাতে অবুঝ শিশু সামনে মাকে অস্ত্র দেখিয়ে চোখ বেঁধে গণধর্ষণ করে একাধিক ধর্ষণ সহ বিভিন্ন খারাপ কাজের সাথে জড়িত আজাদ রহমান (২৫) ও তার সহযোগী জাকারিয়া (৩৫) কে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম,র নির্দেশনায় প্রযুক্তি ব্যবহার ও কৌশল অবলম্বন করে ( ৫জুলাই রবিবার) ভোর ৫টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগর গ্রাম থেকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সহযোগীতায় কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম ও (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।