প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২০ , ৫:০৪:৫৩ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মহামারী করোনাভাইরাস এর দুর্যোগময় মুহুর্তে মাস্ক না পরে চলাফেরার কারনে জগন্নাথপুরে ১৩টি মামলায় বিভিন্ন ব্যাক্তির ও প্রতিষ্ঠান হতে ৩৭ হাজার ৩৭ হাজার টাকা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত এর বিচারক মোঃ ইয়াসির আরাফাত।
সুনামগঞ্জ জেলায় হু হু করে বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । বিপজ্জনক চতুর্থ ধাপের প্রভাবে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ক্রমাগত। চতুর্থ ধাপটিকে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা খুবই ভয়ানক বলে উল্লেখ করেছেন। আক্রান্ত রোগী থেকে প্রথম সংক্রামিত হওয়া রোগীর উপসর্গ দেখা না দেওয়ায় ঘুরে ফিরেন সর্বত্র। আর এভাবেই তা ছড়িয়ে পরে সবার মধ্যে।এই জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১৮ জন লোক আইসোলেশন সেন্টারে রয়েছেন। তার পরও মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। উপজেলাবাসী সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি, অকারনে বাহিরে করছেন ঘুরাঘুরি । ব্যবহার করছেন না মাস্ক এমনকি সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে করছেন না চলাফেরা । বিকাল ৪ ঘটিকার পরও দোকানপাট খোলা রেখে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ১১ ই জুন বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা সদর বাজারে উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইয়াসির আরাফাত মোবাইল কোট পরিচালনা করেন। এসময় সংক্রামন রোগ ব্যাধি ধারায় ১৩ টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে মাস্ক ব্যবহার না করায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকানপাট খোলা রাখার অপরাধে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। হাটবাজারে চলাচলকারী লোকদের মাইকিং করে সচেতনতার জন্য প্রচারনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সময় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।