প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২০ , ১:৩২:১১ অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি। ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার জনাব, আহমার উজ্জামান এর সঠিক দিকনির্দেশনায় মামলাটি ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবিরওসি) শাহ কামাল আকন্দের পরিকল্পনায় তদন্ত শুরু করে বিকাশ প্রতারক চক্রের অন্যতম ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
০২-১১-২০১৯ইং তারিখ একটি বিকাশ প্রতারক চক্র অভিনব কায়দায় ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার বাসিন্দা মোছাঃ উর্মি আক্তার-কে ফোন করে বিকাশে ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয়। উক্ত ঘটনায় মোছাঃ উর্মি আক্তার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় অভিযোগ করলে, গৌরীপুর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ- ০৬/১১/২০১৯ ইং ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়।
জানতে পেরে ডিবির একটি টিম এস আই(নিঃ) মোঃ শামীম আল মামুন নেতৃত্বে এ এস আই(নিঃ) মোঃ জুয়েল মিয়া সহ তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় মানিকগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য মো মাইকেল (৩১) ও ডিএমপি ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে মোঃ ইউসুফ ওরফে ইমনদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রতারণার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন–
১। মোঃ মাইকেল মিয়া (৩১) পিতা-মোঃ বাচ্চু মিয়া,মাতা-মোছাঃ মনোয়ারা বেগম, সাং-পিপুলিয়া, থানা-হরিরামপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ।
২। মোঃ ইউসুফ ওরফে ইমন (২৭), পিতা-মোঃ ইউসুফ শেখ, মাতা-মোঃ কমলা খাতুন, সাং-ডুমাইন পশ্চিম পাড়া, থানা-মধুখালি, জেলা-ফরিদপুর। সবাই সর্তক থাকুন এবং ডিবি পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।
ডিবির ওসি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সকলের সতর্কতার স্বার্থে জানাচ্ছি কিভাবে তারা বিকাশে প্রতারণা করে। আশা করি নিম্নের তথ্যগুলি পড়ে কিছুটা হলেও সর্তক থাকবেন।
১। প্রথমে প্রতারক চক্র সহজ পথ অবলম্ব করে,অন্ধকারে ঢিল ছোরে যেমনÒ বলে আপনার নম্বর বিকাশ কিনা? আমি কিছু টাকা পাঠাবো”এভাবেই সহজে তারা জেনে নেয় আপনার নম্বর বিকাশ কিনা।
অতঃপর মোবাইলের play stor হতে বিকাশ এ্যাপস ব্যবহার করে আপনার নাম্বারে মেসেজে (বার্তা) দিয়ে-৬ কোডের একটি কোড নম্বর পাঠায়। তখন তারা অন্য নাম্বার দিয়ে ফোন করে বিকাশ কোম্পানীর লোক পরিচয় দিয়ে আপনাকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নিষেধ করে এবং আপনার ফোনে যাওয়া মেসেজে ৬ সংখ্যার কোড জানতে চায়।
২। একটি ভূয়া মেসেজ পাঠিয়ে বলবে আপনার নাম্বারে টাকা গেছে ফেরত দেন। তখন আপনি ব্যালেন্স না দেখেই টাকা পাঠানো শুরু করেন। এভাবেই প্রতারক প্রতারিত করে থাকে। সকলে সর্তক থাকুন। কারণ বিকাশ কখনো পিন নাম্বার ও ভেরিফিকেশন বা কোড নাম্বার জানতে চায় না।
আশা করি এভাবে কেউ প্রতারিত হবেন না। ওসি ডিবি শাহ্ কামাল আকন্দ।